বাংলাদেশের ৬৫% সাংবাদিকই তাদের পেশা পরিবর্তন করতে চানঃ-টিআইবি
ডেক্স রিপোর্ট শুক্রবার ১২:৫৬, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১
বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ৬৫% সাংবাদিকই পেশা পরিবর্তন করতে চান। মূলত অনুকূল পরিবেশের অভাবই তাদের পেশা পরিবর্তন করতে চাওয়ার মূল কারণ। তবে বেতন কাঠামো, জীবনযাত্রার মান এবং চাকরির স্থিতিশীলতা নিয়ে অসন্তুষ্টিও এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এ কথা জানায়।
“বাংলাদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা: গণমাধ্যমের প্রাতিষ্ঠানিক চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক আলোচনায় টিআইবি জানায়, রেডিও স্টেশন এবং টেলিভিশন চ্যানেলে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যেই নিজেদের কাজের ক্ষেত্র পরিবর্তনের মানসিকতা তুলনামূলকভাবে বেশি।
পেশাদরিত্বের অভাব, সুশাসন, সঠিক মানবসম্পদ নীতি, ব্যবস্থাপনা এবং চাকরির ক্ষেত্রে উন্নয়নের অভাবই সংবাদমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষকে মূল কারণ বলে জানায় টিআইবি।
এছাড়া, গত বছরের মার্চে দেশে করোনাভাইরাস মহামারি আঘাত হানার পর প্রায় ১৬০০ গণমাধ্যম কর্মী চাকরি হারিয়েছেন।
অন্যদিকে, ৮৫%-এর অধিক নারী সংবাদমাধ্যমকর্মী নিজেদের প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেও কোনো সুবিচার পান না।
এদিকে, কোভিড মহামারি চলাকালীন সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মোট ৮৮ জন কার্টুনিস্ট ও সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ৪৫টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, ২৮টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও স্টেশন, ১২৪৮টি দৈনিক সংবাদপত্র এবং হাজার হাজার অনলাইন নিউজ পোর্টাল রয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি ব্যবসায়িক গ্রুপের কাছে ৪৮টি গণমাধ্যমের মালিকানা রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০২০ অনুযায়ী, ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫২তম।
তাছাড়া, গত ১২ বছরে অন্তত ১১ জন সাংবাদিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হলেও কোনো হত্যার বিচার হয়নি।
ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রিয়াজকে উদ্ধৃত করে টিআইবি জানায়, গণমাধ্যমের মালিকরা অন্যান্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এবং তারা তাদের নিজস্ব ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে গণমাধ্যমকে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।