পীরগাছায় ধান ও সবজি মিলে ক্ষতি প্রায় ২০ কোটি টাকা
একরামুল ইসলাম,পীরগাছা(রংপুর) রবিবার বিকেল ০৪:৪২, ২৫ অক্টোবর, ২০২০
রংপুরের পীরগাছায় জমে থাকা পানি কমলেও পচন ধরেছে রোপা আমন ধানে ও সবজি ক্ষেতে। উজান থেকে নেমে আসা পানি ও দফায় দফায় ভারী বর্ষণের ফলে তলিয়ে গিয়েছিল আমন ধান ও সবজি ক্ষেত। কয়েক সপ্তাহ আমন ধান ও সবজি ক্ষেত পানির নিচে ডুবে থাকায় গাছের গোড়া নরম হওয়ায় পচন ধরছে। ফলে আমন ধানে পচন ধরার ফলে গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ গো-খাদ্যের সিংহভাগ চাহিদা মেটায় ধানের খড়। সাধারণ মানুষকে চড়া দামে খড় কিনতে হচ্ছে। ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে গরু পালনকারীদের।
ভবিষ্যতে আরও খড়ের সংকট দেখা দেবে বলে মনে করেন তারা। এদিকে উপজেলার একটি ধানের খড়ের আটি ১০-১৫টা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। খড়ের দাম ও চাহিদামতো গো-খাদ্য না থাকায় অনেক কৃষক সস্তা দামে গরু বিক্রি করছেন। গো-খাদ্য সম্পর্কে আশরাফুল ইসলাম বলেন, খড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ও চাহিদামতো গো-খাদ্য না থাকায় আমার একটি বিদেশি গরু কম দামে বিক্রি করেছি। খড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শামসুজ্জামান বলেন, চাষিরা যেসব ঘাস রোপন করছিল। অতি বৃষ্টির কারণে সেসব ঘাস নষ্ট হওয়ার ফলে খড়ের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলার মাছুয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মমিন মিয়া বলেন, কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের ফলে আমার রোপা আমন ধান পানির নিচে দীর্ঘদিন থাকায় পচন ধরেছে। এতে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সরকারের কাছে আমরা প্রণোদনার দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শামিমুর রহমান বলেন, উপজেলায় ২০ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপন করা হয়েছিল। এতে টানা বর্ষণের ফলে ধান ও সবজি মিলে মোট ক্ষতি প্রায় ২০ কোটি টাকা। আমরা ইতোমধ্যে সরকারের কাছে কৃষকের ক্ষতি-পূরণের চাহিদা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে কৃষকদের দেয়া হবে।