পারিবারিক শ্মশানের ওপর দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) শুক্রবার সন্ধ্যা ০৭:৫৮, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার কাইলানী হাওরের টঙ্গী ফসলরক্ষা বাঁধে বিধিবহির্ভূতভাবে গঠিত ২৪নং পিআইসি বাতিল করা, পারিবারিক শ্মশানের ওপর দিয়ে বাঁধ নির্মাণ না করা,অ্যালাইমেন্ট অনুযায়ী বাঁধের প্রকল্প কাজ বাস্তবায়ন করা,মালিকানাধীন অনাবাদী জমি থেকে মাটি উত্তোলন বন্ধ করা ও ধান খেত নষ্ট করায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মধ্যে ক্ষতিপূরণের দাবিতে আজ শুক্রবার (১৯ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে টঙ্গী বাঁধ সংলগ্ন স্থানে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের রাজাপুর ও সানবাড়ী গ্রামের কৃষকদের ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানবন্ধনে এখানকার পাঁচটি গ্রামের শতাধিক কৃষক অংশ নেয়। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সানবাড়ী গ্রামের কৃষক পরিমল প্রাণেশ মজুমদার, পরিমল মজুমদার, কমরেড চৌধুরী,রাজাপুর গ্রামের কৃষক রইছ মিয়া, মাসুক মিয়া, ঘিরইল গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া,বরই গ্রামের কৃষক মজনু মিয়া,বানারসীপুর গ্রামের কৃষক খালেক মিয়া,মর্তুজ আলী প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,উপজেলার কাইলানী হাওরের টঙ্গী ফসলরক্ষা বাঁধটি সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে আছে। এটির দৈর্ঘ্য প্রায় দুই কিলোমিটার।এই বাঁধ পুন নির্মাণ ও মেরামত কাজের জন্য ২২লাখ ৭০হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, বাঁধ সংলগ্ন যেসব কৃষকের জমি আছে তাঁরাই প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি(পিআইসি) তে থাকতে পারবেন। কিন্ত এই পিআইসি কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে তাঁদের বাঁধ সংলগ্ন কোনো জমি নেই।বাঁধের স্থান থেকে ৫-৬কিলোমিটার দূরে বাখরপুর গ্রামের সোরওয়ার্দী তালুকদারকে পিআইসি কমিটির সভাপতি ও গোলাম মৌলাকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এই পিআইসি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা বাঁধের কাছাকাছি স্থান ও মালিকানা অনাবাদী জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে বাঁধের ওই প্রকল্পটির কাজ করে আসছেন। এ ছাড়া তাঁরা ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহন করতে গিয়ে দুই কিয়ার (১কিয়ার =৩২শতক)ধনিয়া খেত বিনষ্ট করেছেন। অ্যালাইনমেন্ট অনুযায়ী কাজ না করে পারিবারিক শ্মশানের ওপর দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করার পায়তারা করছেন। তাই দ্রুত এই অবৈধ কমিটি বাতিল করে নতুন করে পিআইসি গঠন করা ও ক্ষতিপূরণেন দাবি জানানো হয়।
পিআইসি কমিটির সভাপতি সোরওয়ার্দী তালুকদার বলেন,আমাদের বিরুদ্ধ আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা। বাঁধের প্রকল্প কাজটিকে বিভিন্ন অজুহাতে বাধাগ্রস্ত করার জন্য স্থানীয় একটি পক্ষ মরিয়া হয়ে উঠেছে।
(ইউএনও)মো.মুনতাসির হাসান বলেন, কমিটি গঠনে কোনো অনিয়ম করা হয়নি। ওই বাঁধটির প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ নিয়ে স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ আছে। অভিযোগগুলোর তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।