ধর্মপাশায় ঘুষ না পেয়ে কৃষককে ঋন দিতে হয়রানি,কৃষিব্যাংকের ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে এক কৃষকের সংবাদ সম্মেলন
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জ সোমবার সন্ধ্যা ০৬:২৭, ১২ অক্টোবর, ২০২০
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা শাখার ব্যবস্থাপক মো.রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর চাহিদা মাফিক ঘুষের অবশিষ্ট ১০হাজার টাকা না দেওয়ায় তিনি স্থানীয় মো.সূরে আলম (৩৫) নামের এক কৃষককে মৎস্য চাষ খাতে প্রণোদনা ঋণ দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার বেলা পৌনে একটার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা প্রেস ক্লাবের কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই কৃষক লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এই অভিযোগ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কৃষক মো.সূরে আলম উল্লেখ করেছেন, তাঁর বাড়ি সদর ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামে । তাঁদের সাতটি পুকুর রয়েছে। সম্প্রতি বন্যার কারণে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ হন। প্রায় দেড়মাস আগে তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ধর্মপাশা শাখার ব্যবস্থাপক মো.রিপন সঙ্গে দেখা করেন এবং শতকরা ৪টাকা হারে প্রণোদনা ঋণ নেওয়ার জন্য জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ম্যানেজারের কাছে জমা দেন।
আমি তিন লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলি। এই টাকা ঋণ দিতে হলে আমার কাছে এ বাবদ ২০হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন তিনি। আমি ধার করে এনে ১০হাজার টাকা দিই। বাকি টাকা পরে দেব বলে জানাই। চলতি বছরের ২১সেপ্টেম্বর ঋণ নং ১৩/২০-২১মূলে নথি নাম্মারে পুকুরে মৎস্য চাষ খাতে ২৩সেপ্টেম্বর তিন লাখ টাকা ঋণের জন্য আমার আবেদনে সুপারিশ করে দেন পরিদর্শক বিকাশ রঞ্জন সরকার।
ম্যানেজারকে ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি বিকাশ বাবুকে জানালে তিনি টাকা দিকে বারণ করেন। ঋণ মঞ্জুরের পূর্বে ব্যবস্থাপক মো.রিপন মিয়া ঘুষের অবশিষ্ট টাকা আমার কাছে চাহিলে বিকাশ বাবু আমাকে টাকা না দেওয়ার জন্য বলেছেন বলে ব্যবস্থাপককে জানাই।
এ কথা শুনে ব্যবস্থাপক আমার প্রতি রেগে যান এবং আমাকে পরে ব্যাংকে আসতে বলেন। বেশ কয়েকবার আমি ব্যাংকে গিয়ে যোগাযোগ করলে ব্যবস্থাপক নানা অজুহাত দেখানে শুরু করে সময় পার করছেন। টাকার অভাবে আমি মাছের খাবার দিতে না পারায় ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ব্যবস্থাপক মো.রিপন মিয়া আমার কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করায় তাঁর বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণসহ হয়রানি ছাড়াই আমি ঋণ পাওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জুবায়ের পাশা হিমু, সহ সভাপতি সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন রানা,সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক এনাম, যুগ্ম সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ,সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ,দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক সোহান আহম্মেদ,সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক শাকিল আহমেদ মুন সম্মানিত সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক সালেহ আহমদ, সাংবাদিক মোবারক হোসাইন প্রমুখ।
এ ব্যাপারে ম্যানেজার মো.রিপন মিয়া তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,কৃষক মো.সূরে আলমের কাগজপত্র সঠিক ছিল না। তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা গল্প সাজিয়েছেন।