ধর্মপাশার মধ্যনগরে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ০৬:০৮, ১ মার্চ, ২০২২
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এবং ফারুনগর গ্রামের বাসিন্দা মাহবুল আলম ফারুকী ও তার ছোট ভাই সাংবাদিক আতিকুর রহমান ফারুকীসহ তাদের পরিবারকে জড়িয়ে মিথ্যা এবং বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পহেলা মার্চ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে মধ্যনগর প্রেসক্লাবে মাহবুব আলম ফারুকী ও আতিকুর রহমান ফারুকী সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংবাদিক আতিকুর রহমান ফারুকী। তিনি তার লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাইকুরাটি ইউনিয়নের চাতলার হাওরে বিএমএস নামক ইটভাটার মালিক হিসেবে আতিকুর রহমান ফারুকী ও তার বড় ভাই মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম ফারুকীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মনি রায় ও সুচিত্রা রায় নামের দুজন বিএমএস ইট ভাটাটি প্রোপাইটর হিসেবে পরিচালনা করছেন। মনি রায় সুনামগঞ্জের ও সুচিত্রা রায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
কিন্তু প্রকাশিত সংবাদে মনি রায় ও সুচিত্রা রায়ের বক্তব্য না নিয়ে তাদের দুই ভাইয়ের সাথে কথা না বলে দিনকাল ও শুভ প্রতিদিন পত্রিকার ধর্মপাশা প্রতিনিধি মিটু মিয়া, জাগ্রত সিলেটের ধর্মপাশা প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান চয়ন, ভোরের ডাক পত্রিকার ধর্মপাশা প্রতিনিধি ইমাম হোসেন, ঝিনুক মিডিয়ার বিশেষ প্রতিনিধি এমএ মান্নান উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সংবাদ প্রকাশ করেন। এমনকি সংবাদে মাহবুব আলম ফারুকী ও আতিকুর রহমান ফারুকীর মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গ করেছেন। ওইসব সংবাদে অভিযুক্ত সাংবাদিকেরা স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামের বক্তব্য ব্যবহার করে মাহবুব আলম ফারুকী ও আতিকুর রহমান ফারুকীকে রাজাকার পরিবারের সন্তান হিসেবে অ্যাখা দেওয়ার চেষ্টা করাসহ বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য প্রকাশ করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধার মন্তব্যটি নিয়ে সন্দেহ হলে আতিকুর রহমান ফারুকী বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামের সাথে কথা বললে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম গণমাধ্যমে আতিকুর রহমান ফারুকী ও মাহবুব আলম ফারুকী রাজাকার পরিবারের সন্তান উল্লেখ করে কোনো বক্তব্য দেননি বলে স্বীকার করেছেন। যার অডিও রেকর্ড আতিকুর রহমান ফারুকীর কাছে সংরক্ষিত রয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
আতিকুর রহমান ফারুকী আরও বলেন, তার বাবা শাহাব উদ্দিন ফারুকী অরফে রঙ্গু মিয়া ১৯৭৭-১৯৮৪ সাল পর্যন্ত মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে তৎকালীন মধ্যনগর থানায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। অথচ আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি কুচক্রি মহলের ছত্রছায়ায় উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মিথ্যা সংবাদ করে আমাদের মানহানী করা হয়েছে। তাই আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি মাহবুব আলম ফারুকী ও আতিকুর রহমান ফারুকীকে রাজাকার পরিবারের সন্তান উল্লেখ করে সাংবাদিকদের কাছে কোনো বক্তব্য দেননি।