ঢাকা (বিকাল ৫:২৩) বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ ইং

দেশে তেলের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে-বলছেন পাম্প মালিকেরা

<script>” title=”<script>


<script>

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় লোকসান বেড়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি)। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে শিডিউল করে লোডশেডিং করছে সরকার। এরই মধ্যে দেশের তেলের সংকট নিয়ে নানা গুঞ্জণও চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে তেল মজুত আছে এমন কথা বারবার বলা হলেও বাস্তবচিত্র ভিন্ন। কয়েকদিন আগে পাম্পে নির্দিষ্ট পরিমাণে তেল দেওয়া হবে এমন নোটিশ দেখে সারাদেশে তৈরি হয় তেল সংকটের গুঞ্জণ। অন্যদিকে, দাম বাড়ার নতুন ঘোষণায় তেল মজুতের প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হয়েছে।

এ বিষয়ে পাম্প মালিকরা বলছেন, তারা তেল পাচ্ছেন। এ মুহূর্তে তাদের তেলের চাহিদা ও সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তবে, তেল চাহিদা অনুযায়ী না পেলেও ‘পাচ্ছি’ বলতে হচ্ছে— এমন ইঙ্গিতও পাওয়া যায় একাধিক বক্তব্যে।

শনিবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরবাড্ডা এলাকার আল-মক্কা পাম্পে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়, এ মুহূর্তে তেলের কোনো সংকট নেই। তারা স্বাভাবিকভাবেই তেল পাচ্ছেন। যতটুকু পাচ্ছেন ততটুকুই সরবরাহ হয়ে যাচ্ছে। কোনো ঘাটতি থাকছে না বলেও জানান তিনি।

তবে, চাহিদা অনুযায়ী তেল পাচ্ছেন না বলে জানান মালিবাগ অটো সার্ভিস পাম্পে। তারা বলেন, তেল আসছে ঠিকই, তবে একটু কম। আগে আমাদের প্রতিদিন এক লরির বেশি লাগতো। কিন্তু এখন এক লরির বেশি পাই না। সরকার বলছে—যে তেল আছে, কিন্তু আমাদের কাছে এক লরির বেশি চাহিদা থাকলেও পাচ্ছি না।

তারা বলেন, এখন একটু চাহিদা বেশি। অনেকেই বেশি করে নিচ্ছেন। মনে করছেন তেল পাওয়া যাবে না। চাহিদা বেশি, কিন্তু পরিমাণ আগের মতোই পাচ্ছি। আগে দুই লরি আসতো। এখন এক লরি আসে। তাহলে তো একটু কমই আসেই।

মালিবাগ অটো সার্ভিসের মালিক বলেন, তেল যা চাচ্ছি, তাই পাচ্ছি। কিন্তু আনার পর বিক্রি বেশি হয়ে যাচ্ছে। এজন্য তেল কম পড়ছে।

তিনি আরো বলেন, এখন তেলের চাহিদা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার আমাকে তিনদিনের তেল নিতে হয়। ধরুন, তিনদিনের তেল আমি আনলাম। স্বাভাবিক চাহিদার তুলনায় প্রতিদিন যদি আমার এক হাজার লিটার তেল অতিরিক্ত বিক্রি হয়, তাহলে তো আমার ট্যাংকি শেষ হয়ে যাবে। একেক দিন একেক রকম চাহিদা। মালিবাগ ফ্লাইওভার থেকে বাড্ডা পর্যন্ত ডিজেলের আর কোনো পাম্প নাই। এতটুকু রাস্তায় একটি মাত্র পাম্প থাকায় আমার এখানে চাহিদাও বেশি। আমি তো তেল ধরে রাখতে পারছি না। আমার তেল আসছে আর দিয়ে দিতে হচ্ছে। আগে যে পরিমাণ তেল চাইতাম, সে পরিমাণই পেতাম। কিন্তু এখন আর তাদের নির্ধারিত পরিমাণের বাইরে তেল পাই না।

তিনি বলেন, ট্রাস্টের এক পাম্পে ‘তেল নেই’ কাগজ টাঙিয়েছিল। এ জন্য সেখানে সবাই হুমড়ি খেয়ে তেল নিতে আসে। এ জন্য ওই পাম্পের লোকজন ডেকে শোকজ করেছে।

তেল না থাকায় আমি একদিন টাঙিয়েছিলাম। তখন ডিবি এসে আমাকে না লিখতে বলেছেন। ভাইরাল হয়ে যায়। এজন্য আর লেখি না।

নীলক্ষেত এলাকায় কাজী গোলাম সামদানী পাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের এসএসও ওয়েল কোম্পানি থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছেন এ পাম্প মালিক। শুক্রবার (৫ আগস্ট) পাম্পে গেলে তেল সংকট নেই বলে জানান ম্যানেজার মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এখন তেলের কোনো সংকট নেই। আমরা যা চাচ্ছি, তাই পাচ্ছি।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শনিবার (৬ আগস্ট) রমনা পাম্পের মালিক ও পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাজেদুল হক বলেন, বর্তমানে তেলের কোনো সংকট নেই। সরকার দাম বাড়িয়েছে, সেটা সরকার জানে। সরকারের ভর্তূকি যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে এসব মিলিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আমরা ঠিকই পাচ্ছি। যখন লোডশেডিং শুরু হয়েছিল, তখন হঠাৎ করে তেলের চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল। মানুষ জেনারেটরের জন্য তেল নিতো, অনেকেই অতিরিক্ত তেল নিতো। এজন্য একটা ধাক্কা লাগে। এখন সে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে বলে মন্তব্য তার।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা থেকেই কার্যকর হয়েছে সরকার ঘোষিত ডিজেল, পেট্রল, কেরোসিন, ও অকটেনের নতুন দাম। দাম বেড়েছে প্রতি লিটার ডিজেলে ৩৪, কেরোসিনে ৩৪, অকটেনে ৪৬, পেট্রলে ৪৪ টাকা। দাম বাড়ার পর প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও প্রতি লিটার পেট্রল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা তেলের দাম ছিল প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রল ৮৬ টাকা।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT