ঢাকা (ভোর ৫:১৯) বুধবার, ২৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দাম বৃদ্ধির আগেই অস্থির ভোজ্যতেলের বাজার

অর্থনীতি Source তথ্যসূত্রঃ https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/612504/%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0 ২২৮৬ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি নিজস্ব প্রতিনিধি Clock রবিবার রাত ০৯:০৭, ৬ নভেম্বর, ২০২২

দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের পরই চট্টগ্রামে অস্থির সয়াবিনসহ ভোজ্যতেলের বাজার। দাম বাড়ানোর আগেই অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে ভোজ্যতেল। আবার কেউ কেউ ভোজ্যতেল মজুত করছেন। যাতে দাম বাড়লে বেশি দামে বিক্রি করা যায়। ২২ সেপ্টেম্বর সরকার চিনি ও পাম অয়েলের দাম কিছুটা কমিয়ে নির্ধারণ করে দেয়, যা গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার অস্বাভাবিক দরপতনের ফলে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। এ কারণে ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে হচ্ছে। গত ৩ অক্টোবর বোতলজাত তেলে লিটারে ১৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলে ১৭ টাকা দাম কমিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। সেই দাম অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের লিটার ১৫৮ টাকা।

একইভাবে ৫ লিটারের বোতল ৮৮০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু এ দামে চট্টগ্রামে কোথাও ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে না। চট্টগ্রামে প্রতি লিটার বোতল জাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা থেকে ১৮৮ টাকা দরে। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা থেকে ১৭০ টাকা দরে। ৫ লিটারের বোতল ৮৮০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলে বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকার বেশি দরে।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল মালিকরা সরকারের নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেল বিক্রি করছেন না। তাদের দাবি, সরকারের কাছে ভোজ্যতেলে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যে কোনো কৌশলে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে। এর কারণে প্রস্তাবিত দামের কমে কোনো মিল মালিক ভোজ্যতেলে বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে দাম অটোমেটিক বেড়ে যাচ্ছে। পণ্যের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেবে সরকার-এমন বিষয় আঁচ করতে পেরেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। কিন্তু যখন দাম কমানোর ঘোষণা দেয় তখন আর দাম কমায় না। নানা গড়িমসি ও অজুহাতে বাড়তি দামেই পণ্য বিক্রি করে। সহজেই কম দাম কার্যকর হয় না। ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে তেমনটিই ঘটেছে। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে বাজারে।

গত বুধবার দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর মাত্র এক মাসের মাথায় আবারও বাড়াতে চান ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা। এ দফায় লিটারে ১৫ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম ১৯৩, খোলা সয়াবিনের প্রতি লিটার ১৭৩ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৯৫৫ টাকায় দাঁড়াবে।

খাতুনগঞ্জের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জানান, আমদানিকারক ও মিল মালিকরা ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি করতে হচ্ছে। এখানে আমাদের কোন হাত নেই। আমদানিকারকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার অস্বাভাবিক দরপতনের ফলে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। এ কারণে ভোজ্যতেলের আমদানি ব্যয় বেড়েছে।

বাজারদর : চট্টগ্রামে সবজির দামে আগুন। প্রতিকেজি ৫০ টাকার কমে কোনো সবজিই নেই। বাজারে প্রতিকেজি লাউ ৫০, শসা ৭০, পেঁপে ৪০ ও পটোল, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। তা ছাড়া লম্বা বেগুন ৭০, গোল বেগুন ৫০, বরবটি ৮০, চালকুমড়া ৫০, কচুরলতি ৪০ ও বাঁধাকপি ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিকেজি রুই মাছ ৩৫০, তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২৫০ থেকে ৩শ, দেশি শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৪শ, ফার্মের শিং মাছ ২শ, কই মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা মাছ সাড়ে ৫শ ও কাতলা মাছ ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা ও দেশি মুরগি ৫শ থেকে ৫৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT