ঢাকা (রাত ১২:৩১) বৃহস্পতিবার, ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দাউদকান্দিতে পৈতৃক সম্পত্তি পেতে সন্তানদের সংবাদ সম্মেলন

হোসাইন মোহাম্মদ দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা হোসাইন মোহাম্মদ দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা Clock বুধবার সন্ধ্যা ০৬:৪৫, ২৪ আগস্ট, ২০২২

স্ত্রী ও তিন ছেলেকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ ওঠেছে; কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি পৌরসভার হাসানপুর গ্রামের নোমান সরকার ও তার পিতা রফিক দারোগা ও তার মা শাহিদা ইসলাম মাসুর বিরুদ্ধে।

বুধবার (২৪ আগষ্ট-২০২২ খ্রি.) দুপুরে দোনারচর আজমিরি খন্দকারের বাসভবনে নোমান সরকারের স্ত্রী তাসলিমা খন্দকার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর তাসলিমা খন্দকার জানান, আমার স্বামী নোমান সরকার একজন অসুস্থ মানুষ, সে ২০১৮ সালের শেষের দিকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। বিভিন্ন সময় তার চিকিৎসা সেবা আমি করে আসছি।

কিন্তু আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে; আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি ও দেবেরের প্ররোচনায় চলতি মাসের ১০ তারিখে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। আমি এই সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাই কারণ সংবাদ সম্মেলনে যেসব মনগড়া মন্তব্য ও তথ্য দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

প্রকৃতপক্ষে আমার স্বামী মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু পথযাত্রী। তিনি মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত ও অসুস্থ। তার নিজের এখন সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো মন মানসিকতা নেই।

তার নামে ৩০ শতক জায়গা আছে। এই জায়গা আমার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির নামে লিখে দিতে আমার ও আমার তিন সন্তানদের বিরুদ্ধে এই চক্রান্ত করছে।

আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি, দেবর ও তার (দেবরের স্ত্রী) স্ত্রী মিলে আমার সঙ্গে সর্বদা খারাপ আচরণ করে আসছে।তারা আমাকে আমার শ্বশুর বাড়িতে থাকার জন্য কোনো জায়গা দিচ্ছে না। আমি আমার তিন সন্তান নিয়ে বড় দুর্বিষহভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছি।

তাসলিমা খন্দকার আরও বলেন-আমি এই বিষয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায়ও অভিযোগ দিয়ে রেখেছি।

আমি আমার স্বামীকে সর্বদা টাকা পয়সা, সেবা শ্রুশ্রুষা করে আসছি। আমার স্বামী অসুস্থ হওয়ার পর থেকে  আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি আমার সন্তানদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করে। তাদের পড়ালেখার ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করছে না; কারণ আমার স্বামী কর্মক্ষম। আমার শ্বশুরের অনেক সম্পদ থাকা সত্ত্বেও; তিনি আমার সন্তানের সহযোগিতা করেছেন না।

আর্থিক অনটনে আমার সন্তানদের পড়ালেখা হচ্ছে না। তিন ছেলের ভবিষ্যৎ জীবনে অন্ধকার নেমে আসছে।

জানা যায়, উপজেলার পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলমাস খন্দকারের মেয়ের সঙ্গে ২৭ বছর আগে বিয়ে হয়েছিলো; হাসানপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম রফিক দারোগার ছেলে নোমান সরকারের সঙ্গে। এই দম্পতির ঘরে এখন নাইম (২৩), তন্ময় (২০) ও তামিম (১১) নামে তিনটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

এ বিষয়ে তাসলিমা খন্দকারের স্বামী নোমান সরকার ও তার শ্বশুর শ্বাশুড়ির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে; তারা ফোন রিসিভ না করাতে কিছু জানা যায়নি।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT