এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণের প্রতিবেদন জমা
মোঃইবাদুর রহমান জাকির,সিলেট মঙ্গলবার বিকেল ০৫:৩২, ১৩ অক্টোবর, ২০২০
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি।প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) নিশ্চিত করেন এমসি কলেজের অধ্যক্ষ মো.সালেহ আহমদ।
তিনি জানান ,শনিবার (১০ অক্টোবর) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। রবিবার (১১ অক্টোবর সকালে প্রতিবেদনটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে। যেহেতু এ ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত ও উচ্চতর একটি কর্তৃপক্ষের আরও দুটি তদন্ত চলছে সেক্ষেত্রে কলেজের তদন্ত প্রতিবেদন এই মুহূর্তে প্রকাশ করলে ওই দুটি তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই কলেজের তদন্ত প্রতিবেদনটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে।
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রবাসে অবৈধভাবে বসবাসরত ছাত্রলীগের কর্মী ছয়জনসহ আরও দুজন জড়িত অভিযোগে মামলা হয়। অভিযুক্ত এই আটজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ধর্ষণকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।
করোনা পরিস্থিতির সময় বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ রকম ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠলে কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ঘটনা তদন্তে কলেজ কর্তৃপক্ষ ২৭ সেপ্টেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
জানা যায় , কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান আনোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির দুজন সদস্য হিসেবে ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক (হোস্টেল সুপার) মো. জামাল উদ্দিন ও জীবনকৃষ্ণ ভট্টাচার্যকে সদস্য রাখা হয়।
সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশনা ছিল। ছাত্রাবাসের দুজন তত্ত্বাবধায়ক কমিটিতে থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠলে ওই দুই সদস্য অব্যাহতি নেন।
পরে তদন্ত কমিটিতে কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিভূতিভূষণ রায়কে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে তদন্ত কার্যক্রম চলে।
পরে আরও দুজন সদস্যকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে তদন্তের জন্য সাত কার্যদিবস থেকে বাড়িয়ে আরও পাঁচ কার্যদিবস সময় নেওয়া হয়।