ঢাকা (রাত ৩:০০) শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

আজ পবিত্র জুম্মা মোবারক



এই দিনটি সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। মুসলিম জাহানের এক পবিত্র দিন। মাফ চাইবার দিন। শুদ্ধ হবার দিন। সকল মুসলমান ভাই-ভাই হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাশাপাশি দাড়িয়ে আল্লাহর সান্নিধ্য পাবার সুযোগের দিন।

এ দিনের রয়েছে বিশেষ করণীয় আমল এবং বৈশিষ্ট্য। রাসুল (সাঃ)ও জুম্মার দিনকে সম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ দিন মনে করতেন। তিনি এই দিনের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন। নিচে সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো-

জুম্মার দিনের ফজরের নামাজে তিনি সুরা আলিফ-লাম-মিম সিজদাহ ও সুরা ইনসান  পাঠ করতেন। কেননা এই সুরা দু’টিতে জুম্মার দিনে যা সংঘটিত হয়েছে এবং যা সংঘটিত হবে তা বর্ণিত হয়েছে।

জুম্মার দিনে ও রাতে রাসুল (সাঃ)এর ওপর বেশী দরূদ পাঠ করা মুস্তাহাব। কেননা তাঁর মাধ্যমেই উম্মাত দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ অর্জনে ধন্য হয়েছে। জুম্মার দিনেই তাদের জন্য সবচেয়ে বড় সম্মান অর্জিত হবে।

জুম্মার দিনেই তাদেরকে জান্নাতের ঘরসমূহে স্থান দেয়া হবে। জান্নাতে প্রবেশের পর এ দিনেই তাদেরকে সর্বোত্তম নিয়ামত (আল্লাহর দিদার) দান করা হবে। এ সময় তারা তাদের প্রভুর নিকটবর্তী হবে।

জুম্মার দিন মিসওয়াক করা ও খুশবু লাগানো মুস্তাহাব। অন্যান্য দিনের তুলনায় এ দিনে সুগন্ধি ব্যবহার অধিক ফজিলতপূর্ণ কাজ।

হাদিসে জুম্মার দিন গোসল করার বিশেষ তাগিদ রয়েছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় এ দিনের গোসলের ফজিলত অনেক বেশি।

জুম্মার দিন যারা দ্রুত জুমআর নামাজ আদায়ে মসজিদে উপস্থিত হবে ও ইমামের নিকটবর্তী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করবে; সে অনুপাতেই তারা আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হবে এবং অতিরিক্ত নিয়ামত প্রাপ্ত হবে।

জুম্মার নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে সকাল সকাল বের হওয়া, আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকা এবং ইমাম উপস্থিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নামাজরত থাকাও জুম্মার দিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

খুতবার সময় চুপ থাকা এবং মনোযোগ দিয়ে জুমআর দিনের নসিহত গ্রহণ করাও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। ইমাম যখন খুতবা দেন, তখন চুপ থাকা ওয়াজিব।

জুম্মার নামাজ আদায়ের সময় সুরা জুমআ, মুনাফিকুন, আ’লা, এবং সুরা গাশিয়া দিয়ে নামাজ পড়াও এ দিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

জুম্মার দিন সুন্দর ও উত্তম পোষাক পরিধান করা মুস্তাহাব।

জুম্মার দিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পায়ে হেঁটে জুমআর নামাজ পড়তে যাওয়া। কারণ পায়ে হেঁটে গমণকারীর প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে এক বছর দিনের বেলা নফল রোজা রাখা এবং রাতের বেলা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের সাওয়াব রয়েছে।

জুম্মার দিন সুরা কাহাফ পাঠ করলে পরবর্তি জুম্মা পর্যন্ত তাকে নূর দ্বারা আলোকিত করা হয়। এই দিনে রয়েছে দুআ কবুলের বিশেষ মুহূর্ত। তাই আল্লাহ তাআলা জুম্মার দিনে বান্দার গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেন।

 

 

 

 

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT