অবৈধভাবে এলপিজি গ্যাস বোতলজাতকরণের দায়ে ৩ জনকে সাজা প্রদান
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার শনিবার দুপুর ০৩:৪০, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
দাউদকান্দি উপজেলার গোয়ালনারী ইউনিয়নের ঢুলী নছরুদ্দী এলাকার ঢালি হাউজে অবৈধভাবে এলপিজি গ্যাস বোতলজাতকরণ ও বিপণন করার দায়ে ৩ জনকে সাজা প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার ( ২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান মডেল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিমের উপস্থিতে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
জানা যায়, নেওয়াজ নামক এক কোম্পানির গ্যাসের বোতল থেকে একটি মটর যন্ত্রের মাধ্যমে অধিক মুনাফার আশায় বসুন্ধরা, ফ্রেশ, যমুনা, ওমেরা, ডেলটা প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের লোগোসমৃদ্ধ সিলিন্ডার বোতলে অবৈধভাবে ও অনুমতিহীনভাবে গ্যাস ট্রান্সফার করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন গ্রাহকদের সাথে প্রতিশ্রুত পণ্য না দেওয়ার প্রতারণা করা হচ্ছে; অন্যদিকে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণ অর্থাৎ গ্রাহকের জীবন বিপন্ন হবার মতো ঘটনা ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে অবৈধ ও অনিরাপদচাবে উন্মুক্ত গ্যাস ট্রান্সমিশনের ফলে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ এর মারাত্মক আশংকা তৈরি হচ্ছে মর্মে এই প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার এরশাদ হোসাইন জানান, “এখানে শতশত সিলিন্ডারের মধ্যে একটির বিস্ফোরণ হলেই বিশাল অগ্নিসংযোগ সংঘটিত হবার ঝুঁকি রয়েছে এবং এতে এ বাড়ি ও তার আশেপাশের এলাকায় ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারত। এসব সিলিন্ডার ব্যবহারকারী বসতবাড়িতেও অগ্নিসংযোগ ঘটার আশংকা থাকবে কেননা সিলিন্ডার প্যাকেজিং ও লেভেলিং-এ ন্যুনতম নিরাপত্তা রক্ষা করা হচ্ছে না।”
এ ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত তিন জনকে এ সময়ে হাতেনাতে আটক করা হলে তারা প্রত্যেকেই দোষ স্বীকার করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিন জনকে পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ প্রয়োগ করে সেবাগ্রহীতার জীবন হানিকর এ কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকার জন্য প্রত্যেককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন— ঢুলী নছরুদ্দি গ্রামের অলিউল্লাহর ছেলে ফেরদৌসী, একই এলাকার শাহাজাহানের ছেলে আ.হাকিম ও মমিনের ছেলে হাবিব হাসান।
এর আগেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ টাকা দন্ড প্রদান করা হয়েছিল।