১৭ জুলাই থেকে বসবে কোরবানির পশুর হাট
ডেক্স রিপোর্ট সোমবার বিকেল ০৫:০৩, ১২ জুলাই, ২০২১
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার রাজধানী ঢাকায় ১৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯টি হাট বসবে। আগামী ১৭ জুলাই থেকে এসব হাটে পশু কেনা–বেচা শুরু হবে। দুই সিটি করপোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে আজ সোমবার দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার সারা দেশে কোরবানির পশু ক্রয়–বিক্রয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। খামারি ও ক্রেতাসাধারণকে কোরবানির পশু অনলাইনে ক্রয়–বিক্রয়ের অনুরোধ করা হচ্ছে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যে উত্তর সিটি এবারও ডিজিটাল পশুর হাট চালু রেখেছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হাট বসানো হলেও অনলাইন হাটকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে, আগামী ১৭ জুন থেকে ২১ জুলাই (ঈদের দিন) পর্যন্ত নগরীর ১৯টি অস্থায়ী হাটে পশু বিক্রি করা যাবে। এর বাইরে উত্তর সিটি এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাট এবং দক্ষিণ সিটি এলাকায় সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটেও কোরবানির পশু বেচা–কেনা চলবে।
দক্ষিণ সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন সোমবার বলেন, হাটে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে তারা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। করোনা মহামারির কারণে কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে অস্থায়ী হাটের ইজারাদারদের শর্ত দেওয়া হয়েছে। এসব শর্ত ভঙ্গ করলে ইজারাদারদের ইজারা বাতিল করা হবে।
করোনো পরিস্থিতি বিবেচনায় গত বছর ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম শহরে কোরবানির পশুর হাট না বসানোর সুপারিশ করেছিল করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এ বছর এখন পর্যন্ত কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো সুপারিশ দেয়নি তারা। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর হাটে শারীরিক উপস্থিতিতে না করে অনলাইনে করার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে এবার ১৩টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা তিনটি হাট বাতিল করে ১০টি জায়গায় অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দক্ষিণ সিটির অস্থায়ী হাটগুলো হলো— হাজারীবাগ এলাকার ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠ-সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট-সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার-সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, আফতাব নগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ, সেকশন ১ ও ২-এর খালি জায়গা, গোলাপবাগস্থ দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মার্কেটের পেছনের খালি জায়গা, উত্তর শাহজানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘের ক্লাব-সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধূপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা এবং লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা।
দুই সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে, করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে এবার বাজার ব্যবস্থাপনায় নতুন কয়েকটি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হাটে হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক সাবান রাখতে হবে। গায়ে জ্বর থাকলে কাউকে হাটে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। হাটে প্রবেশকারীকে গ্লাভস, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে প্রবেশ করতে হবে। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে।
এ ছাড়া হাঁটে প্রবেশ এবং বের হওয়ার জন্য পৃথক গেট করতে হবে। নির্ধারিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটে প্রবেশ-বের হতে হবে। বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিরা যাতে হাটে প্রবেশ করতে না পারেন সেই বিষয়টি ইজারাদারদের নিশ্চিত করতে হবে। এসব শর্ত না মানলে ইজারা বাতিলও হতে পারে। যদিও প্রতিবছর ইজারাদারদের কিছু শর্ত দেওয়া হয়। কিন্তু এসব ভঙ্গ হলে ইজারা বাতিলের কোনো নজির দেখা যায়নি।