১০হাজার টাকার জন্য রায়হান হত্যাকারী আকবর খাসিয়ার হাতে আটক
ইবাদুর রহমান জাকির,সিলেট সোমবার বিকেল ০৪:১১, ৯ নভেম্বর, ২০২০
আল্লাহর কসম ভাই, আমি ভাগব না’, খোদার কসম ভাই, আমি ভাই আমি ভাগব না’ বলে আকুতি জানান খাসিয়াদের হাতে আটক এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া।
এসময় উত্তেজিত খাসিয়ারা ১০ হাজার টাকার জন্য কেন মেরে ফেললে? প্রশ্ন করলে এসআই আকবর বলেন, অবস্থা খারাপ দেখে সাথে সাথে আমি হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এসময় একজন মারধোরের অধিকার পেলে কিভাবে জানতে চান?
তখন এসআই আকবর বলেন, আমি মারি নাই ভাই। তখন তাকে খাসিয়ারা ধরি দিয়ে বেঁধে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করেন। এসময় আকবর দড়ি দিয়ে না বেঁধে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধও করেন।
এর আগে গতকাল রোববার গভীর রাতে ভারতের দনা সীমান্ত এলাকার খাসিয়াদের হেডম্যানরা রায়হান হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত এসআই আকবরকে আটক করে তাদের হেফাজতে রাখে।
পরে সোমবার দুপুর ১ টার দিকে ভানতীয় খাসিয়ারা আকবরকে বাংলাদেশ সীমান্তে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীসহ লোকজনদের কাছে বুঝিয়ে দেন। পরে এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশের একটি টিম তাকে জনতার কাছ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে গুরুতর আহত হন রায়হান। তাকে ওইদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহীসহ পুলিশ সদসরা। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান রায়হান।
ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, নগরের কাস্টঘরে গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে প্রাণ হারান রায়হান।
এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সিলেট মহানগর পুলিশের তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করেন।
মামলাটি পুলিশ সদরদফতরের নির্দেশে পিবিআইয়ের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।