হলো না শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার সিদ্ধান্ত
ডেক্স রিপোর্ট রবিবার রাত ০২:৪৬, ২৮ নভেম্বর, ২০২১
শিক্ষার্থীদের ‘হাফ ভাড়া’ নিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে মালিক-শ্রমিক সমিতির বৈঠক হয়েছে। শনিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে শুরু হওয়া আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। তবে হাফ ভাড়া নিয়ে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে।
সমিতির নেতারা বলছেন, যেহেতু সরকার বেসরকারি বাসে ভর্তুকি দেয় না সেহেতু ভাড়া কম নেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ যানজটের কারণে ট্রিপের সংখ্যা কমেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গাড়ির যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই হাফ ভাড়া নিলে লোকসান গুনতে হবে। এ পরিস্থিতিতে টাস্কফোর্স বসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা, হাফ ভাড়ায় মালিকদের ক্ষতি পুষিয়ে আনাসহ নানা বিষয়ে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিকভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। ঢাকার ৮০ শতাংশ বাস মালিক গরিব। হাফ ভাড়া নিলে মালিকদের যে ক্ষতি হবে, তা সরকার কীভাবে পূরণ করবে? সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছি। সবার সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে এনায়েত উল্লাহ বলেন, হাফ ভাড়ার দাবিতে বাস ভাঙচুর, শ্রমিকদের মারধর অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যায়।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, বাসে হাফ ভাড়া বাস্তবায়নে পরিবহন নেতারা আন্তরিক। কিন্তু তাদের যে ক্ষতি হবে তা কীভাবে পূরণ করা হবে, কত ভর্তুকি দেবে সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য সরকার ও পরিবহনে সম্পৃক্তদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব এসেছে।
তিনি বলেন, টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে। টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে যে সিদ্ধান্ত আসবে, তা সেভাবে বাস্তবায়ন হবে। তবে পরিবহন নেতাদের পক্ষ থেকে কনসেশন দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। কত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কত ছাত্র, কতজন বাস ব্যবহার করে, তার একটা পরিসংখ্যান চেয়েছেন নেতারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেই তথ্য দেবে।
সম্প্রতি ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে আরেক দফা বাসের ভাড়া বাড়ানো হলে শিক্ষার্থীরা আবারও হাফ পাসের দাবিতে রাস্তায় নামেন। বুধবার সড়কে সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় নটরডেম কলেজের এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর সেই আন্দোলন আরও গতি পায়। বৃহস্পতিবারও রাজধানীসহ দেশের বেশ কিছু জায়গায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে দেখা গেছে। এছাড়া শুক্রবার বিরতি দিয়ে গতকাল শনিবারও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা।