সিলেট জুড়ে ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশির প্রকোপ দেখা দিয়েছে
আবুল কাশেম রুমন বুধবার রাত ১১:০৫, ৯ আগস্ট, ২০২৩
সিলেট জুড়ে গত কয়েক দিনের তাপ প্রবাহ মাত্রারিক্ত থাকার পর হঠাৎ করে গত ৩/৪ দিনের বৃষ্টির পর তাপমাত্রা পরিবর্তনের পর ঘরে ঘরে ডায়রিয়া ও জ্বর-সর্দি-কাশির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। নগর কিংবা গ্রামের প্রতিটি ঘরেই কেউ না কেউ ডায়রিয়া, জ্বর বা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত। যার ফালে সিলেটের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অসংখ্যা রোগী চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন হঠাৎ গরমের পর আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে সিলেট জুড়ে ডায়রিয়া ও জ্বর-সর্দি-কাশির নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (৮ আগষ্ট) পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ৬’শ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে আরো ২১ ডেঙ্গরোগী শনাক্ত হয়েছেন।
জানা গেছে, চলতি আগস্ট মাসের শুরু থেকে সিলেটের ঘরে ঘরে জ্বর, মাথাব্যথা ও পেঠের পীড়ায় ভুগছে মানুষ। জুলাই মাসে বৃষ্টিহীন সিলেটে তীব্র গরমে মানুষ কষ্ট করেছেন। এর মধ্যে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং ছিল অনেকটা ‘মরার উপর খাড়ার ঘাঁ’র মতো। বৃষ্টির জন্য চাতকের মত আকাশ পানে চেয়েছিলেন সিলেটের মানুষ। যেখানে এই মৌসুমে সিলেটে বানের পানি নিয়ে রব উঠার কথা সেখানে এবারের ভরা বর্ষায় সর্বত্র ছিল পানিশূন্য।
সূত্রে জানা যায়, সিলেট শহর বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম গঞ্জের ফার্মেসীগুলোতে হঠাৎ করেই ওরস্যালাইন, ডায়রিয়ার এবং জ্বর-সর্দি ও কাশির ওষুধ বিক্রি বেড়েছে বলে একাধিক ফার্মেসী মালিক জানিয়েছেন। তারা জানান, গত কয়েক দিনে ডায়রিয়া ও জ্বর-সর্দি-কাশির ওষুধ বিক্রি কমপক্ষে ২ গুণ বেড়েছে। কিছু রোগী চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন নিয়ে ফার্মেসীতে আসলেও প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এই ধরণের ওষুধের ক্রেতা তুলনামূলক বেশী।
এ ব্যাপারে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার বলেন, হঠাৎ করে সিলেটে ডায়রিয়া ও টান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে বেড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই এসব রোগী বাড়ছে। তবে ভাইরাল জ্বর হলে সাধারণত ২/৩ দিন সাধারণ জ্বরের ওষুধ সেবন করেই অনেকে সুস্থ হচ্ছেন। আবার যেসব রোগী ওষুধ সেবন করে ৪/৫ দিনেও জ্বর ছাড়ছেনা তাদেরকে ডেঙ্গু টেস্ট করানো হচ্ছে। রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে কিন্তু জ্বর কমার নাম নেই। এসব রোগীদের একাধিকবার ডেঙ্গু টেস্ট করানো হচ্ছে। ডায়রিয়ার রোগী বাড়লেও ২/৩ দিনে অনেকেই সুস্থ হচ্ছেন।
সম্প্রতি হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, মেডিসিন বর্হিবিভাগে রোগীর চাপ কিছুটা বেড়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে সাধারণত ৩০০০-৩৫০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। এসবের মধ্যে কমপক্ষে ১০০০ রোগী থাকেন মেডিসিন বিভাগের। এদের মধ্যে বেশির ভাগা রোগী ডায়রিয়া ও জ্বর-সর্দি-কাশি বেড়ে যাওয়ার কারনে চিকিৎসা নিতে আসছেন।