ঢাকা (রাত ৯:৩৫) বুধবার, ৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সান্তাহারে অবৈধভাবে একের পর এক দখল হচ্ছে রেলের জমি

মোঃআতিকুর হাসান,আদমদীঘি(বগুড়া) মোঃআতিকুর হাসান,আদমদীঘি(বগুড়া) Clock শুক্রবার সন্ধ্যা ০৭:২৮, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

সান্তাহারে সরকারী রেলওয়ের জমি মানেই অবৈধ ভাবে দখলের কৌশল, শুরু হয় প্রতিযোগিতা। ফাঁকা জায়গা দেখলেই দখলকারীদের কাছে যেনো সোনার হরিণ। সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তার যোগসাজসে প্রভাবশালী থেকে শুরু করে যে যেমন ভাবে পারছে রেল লাইনের আশেপাশের রেলওয়ের জমি অবৈধ ভাবে দখল করছেন। কর্তপক্ষ কঠিন কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারনে সুযোগ পাচ্ছে ওই সব অবৈধ দখলদাররা। যার কারণে অবৈধভাবে দখলের ঘটনা বেশি হচ্ছে বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী এই সান্তাহার রেলওয়ের বেশ কিছু জমিতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জিরা বাবু ও সামছুল নামের দুই ব্যক্তি রেলওয়ের প্রায় ১০শতক জমিতে অবৈধভাবে বাড়ি নির্মান করছেন। আইনের নীতিমালা না মেনে সান্তাহার পৌর শহরের সরকারী কলেজের সীমানা সংলগ্ন রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। ওই এলাকায় আরও ১৫-২০শতক জমিতে অবৈধভাবে ৪টি পরিবার বসবাস করছেন। অপরদিকে পৌর শহরের পান্নার মোড়ের উত্তর পার্শ্বে প্রভাবশালী আতিকুজ্জামান তিনিও প্রায় ৮ শতক রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণ করছেন। রেলওয়ের জমি এমন হরিলুট হওয়া সত্বেও কর্তৃপক্ষের নিরব ভূমিকায় দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন। এ ব্যাপারে যেনো তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। নেই কোন উদ্ধার তৎপরতা।
জানা যায়, সরকারী রেলওয়ের জমিতে পাঁকা বাড়ি নির্মান করার কোন আইনের নীতিমালা নেই। শুধু কৃষি কাজে বা ব্যবসার জন্য লিজ নিতে পারে তাও শর্ত সাপেক্ষ। কিন্তু সান্তাহারে ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে জংশন যেখানে সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি থাকা সত্বেও একের পর এক অবৈধভাবে দখলের ঘটনা ঘটেই চলেছে। বেশির ভাগই জমি দখল করে ভোগ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। ফলে রেললাইনের বাইরে থাকা বেশির ভাগ জমি রয়েছে বেদখলে। কেউ কৃষিকাজে লিজ নিয়ে পাঁকা স্থাপনা করছেন আবার কেউ কোন কাগজপত্র ছাড়াই জমি দখল করে প্রভাব খাটিয়ে ভোগ করছেন। কর্তৃপক্ষদের এবিষয়ে অবগত করলে যদিওবা সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিচ্ছেন এর কয়েকদিন পর পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে আবার বাড়ি নির্মাণের কাজ করছেন, আবার কেউ নির্মাণ কাজ শেষ করে সেখানে বসবাস করছেন, কেউবা শুরু করেছেন ব্যবসা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জোরালো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দখল করা জমি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সুযোগে সৎ ব্যবহার করছেন ওইসব অবৈধ দখলদাররা। তবে রেল কর্তৃপক্ষ চাইলে এই সব জমি উদ্ধারসহ অবৈধ স্থাপনা ইচ্ছে করলেই স্থায়ী ভাবে উচ্ছেদ করতে পারেন বলে সচেতন মহল দাবী করছেন। কিন্তু স্থানীয় রেল বিভাগের লোকজন দেখেও দিনের পর দিন নিরব ভূমিকা পালন করে আসছেন। এতে বছরের পর বছর রেলের জমি বেদখলেই থেকে যাচ্ছে। আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। বঞ্চিত হচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় থেকে। তাই সচেতন মহল রেলওয়ের জমিতে এসব অবৈধ দখলে থাকা স্থাপনা স্থায়ীভাবে উচ্ছেদের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
এ বিষয়েজমি দখলকারী আতিকুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, এ জমি লিজ নেওয়া আছে। অন্যরা যেভাবে বাড়ি করছে আমিও সেভাবে করছি। আমার অভিভাবক লিটন তার সাথে কথা বলেন। তিনি এ বিষয়ে ভালো জানেন। জমী দখলকারী জিরা বাবু ও সামছুলের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এষ্টেট বিভাগের সান্তাহার রেলওয়ে কানুনগো কার্যলয়ের আমিন আলিমুর রাজিব সাংবাদিকদের বলেন, তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। রেলওয়ে থানায় ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তার কাছে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি। এ বিষয়ে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সান্তাহার রেলওয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) আফজাল হোসেন বলেন, লোকপাঠাচ্ছি নির্মান কাজ বন্ধ করার জন্য।



শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT