মেঘনা নিউজ ডেস্ক শনিবার দুপুর ০৩:২১, ১৮ মে, ২০২৪
কুদস শরিফের অ্যাসোসিয়েশন অফ ফ্রিডম অ্যাক্টিভিস্টস-এর মহাসচিব বলেছেন: “আজ সৌভাগ্যক্রমে, শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে কার্যকর ঐক্য গড়ে উঠেছে। শিয়া ইয়েমেন আজ ফিলিস্তিনের সুন্নি হামাস সংগঠনকে রক্ষায় ভূমিকা রাখছে।
চলতি সপ্তাহে “প্যালেস্টাইন সাংস্কৃতিক সপ্তাহ: দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ৭৬ বছর” শীর্ষক প্রদর্শনীতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইনস্টিটিউশনের ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ইসলামী বিপ্লব সমর্থন কমিটির প্রধান ‘আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান আখতারী’, ইরানের পররাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং কুদস শরিফ অ্যাসোসিয়েশন অফ ফ্রিডম অ্যাক্টিভিস্টস-এর মহাসচিব হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মেশাম আমরুদি, ইরানের আমাল লেবানিজ আন্দোলনের প্রতিনিধি সালাহ ফাস এবং ফিলিস্তিনের আরো সক্রিয় কিছু ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ইরানের পবিত্র প্রতিরক্ষা জাদুঘর এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
শিয়া ও সুন্নির মধ্যে কার্যকর ঐক্য গড়ে উঠেছে
ইরানের পররাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং কুদস শরিফ অ্যাসোসিয়েশন অফ ফ্রিডম অ্যাক্টিভিস্টস-এর মহাসচিব হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মেশাম আমরুদি এই সম্মেলনে বলেছেন: “এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। ইসরাইলের চাপিয়ে দেয়া এই যুদ্ধ গাজার জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও দৈনন্দিন জীবন কেড়ে নিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিবের মতে, এই অঞ্চলটি ছাদবিহীন উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত হয়েছে।
মেশাম আমরুদি আরো বলেছেন, আজ, গাজায় এমন এক লোমহর্ষক ও বর্বর গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, যার জন্য পরবর্তী ১০০ বছর ধরে উপন্যাস এবং গল্প লেখা যেতে পারে এবং এইসব লেখালেখি আগামী বিশ্বের মানুষকে ব্যথিত করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ইহুদিবাদী মিডিয়া সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ থেকে সকলকে বেরিয়ে আসতে হবে।”
তিনি আরো বলেছেন, “আজ, সৌভাগ্যবশত শিয়া এবং সুন্নি মুসলমানদের মধ্যকার ঐক্য বাস্তব রূপ নিয়েছে। শিয়া ইয়েমেন সুন্নি হামাসকে রক্ষা করছে এবং আজ আমরা ময়দানে কুরআনের বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করছি।
সুতরাং, মুসলমানদের জেনে রাখা উচিত যে আমাদের ঐক্য থাকলে আমেরিকা ও ইসরাইল আমাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারবে না। দখলদার ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এবং আমেরিকা ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সরাসরি বিমান চালাতে বাধ্য হয়েছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস’ অভিযান চালানোর আগে কেউ ইসরাইলকে টার্গেট করতে পারেনি এবং আগামীতে ইরানের এই অপারেশনের বিরাট প্রভাব রয়েছে যা একটি বড় বিজয়।ইরানের এই অভিযান ইসরাইলের এতদিনের গৌরবকে ভেঙে দিয়েছে। কেননা কেউ ইসরাইলে হামলার দুঃসাহস দেখাতে পারবে না বলে এতদিন তারা দাবি করে আসছিল। আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আমেরিকা লেবাননের হিজবুল্লাহর সাথে আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়েছে।
-পার্সটুডে