ঢাকা (রাত ১০:৩৬) শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News লোহাগড়ায় ন্যাশনালিষ্ট ব্লাড ব্যাংকের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান Meghna News ট্রমালিংক ১০ বছর পূর্তিতে মতিন সৈকত এআইপিকে সন্মাননা Meghna News সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ একগুচ্ছ সুপারিশ সংস্কার কমিশনের Meghna News গণহত্যায় অভিযুক্ত আ.লীগের কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না Meghna News বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন Meghna News সুন্দর ব্যবহার ও আচরণের বিনিময়ে জান্নাত! Meghna News আল্লাহর পথে আহ্বানকারীর জন্য রয়েছে বিশেষ পুরস্কার Meghna News ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থা দ্রুত সংস্কার করবো: ভিসি আমানুল্লাহ Meghna News গৌরীপুরে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বর্ণিল বিদায় সংবর্ধনা Meghna News স্বামীর মধুময় স্মৃতি রোমন্থনে দিন কাটছে স্ত্রী মারজিনার

লোকসানে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না বিপিসি

জাতীয় Source তথ্যসূত্রঃ কালের কণ্ঠ ২৫৯০ বার পঠিত
লোকসানে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না বিপিসি

মেঘনা নিউজ ডেস্ক মেঘনা নিউজ ডেস্ক Clock রবিবার সকাল ১০:৪৯, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২

ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম চড়ে রেকর্ড ভেঙেছে। যার প্রভাব বাংলাদেশের বাজারেও পড়ছে। ভর্তুকি কমাতে এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।

এর পরও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) দৈনিক প্রায় আট কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে।

এই অঙ্ক প্রতি মাসে প্রায় ২৪০ কোটি টাকা।

বিপিসিকে লোকসানে ফেলেছে মূলত ডিজেলের দাম। বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭০-৭২ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ডিজেলের চাহিদা ৪৮-৪৯ লাখ মেট্রিক টন। এখন দৈনিক গড়ে ডিজেল বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেট্রিক টন।

বিপিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সুবিধাটি ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি ডলারে ১০-১২ টাকার যে অবমূল্যায়ন হয়েছে, এতে বিপিসির ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। এতে এখনো লোকসানের মধ্যে আছে সংস্থাটি।

এ ব্যাপারে বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় প্রায় এক বছর পর্যন্ত বিপিসির নিজস্ব তহবিলের টাকায় ভর্তুকি দিয়ে তেল বিক্রি করা হয়। এতে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা টাকা থেকে ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি দিতে হয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমেছে, তবে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে তেল আমদানিতে খরচ বেশি পড়ছে। এতে বিপিসি এখনো লোকসানের মধ্যেই আছে। তবে জ্বালানি তেলের দাম কমায় বিপিসির লোকসানের মাত্রা কিছুটা কমে এসেছে, কিন্তু আমরা এখনো লোকসানমুক্ত হতে পারিনি। ’

এ বি এম আজাদ বলেন, ‘এখন প্রতি লিটার ডিজেলে আমাদের লোকসান হচ্ছে চার-পাঁচ টাকা, যা গত দেড়-দুই মাস আগেও লিটারে ৮-১০ টাকা পর্যন্ত লোকসান ছিল। এখন বিপিসির দৈনিক লোকসান হচ্ছে প্রায় আট কোটি টাকা। তবে ফার্নেস অয়েল, পেট্রল, অকটেন বিক্রিতে লোকসান নেই। গত আগস্ট মাসে ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর থেকে ডিজেল বিক্রিতে এখনো লোকসান দিতে হচ্ছে। ’

বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিপিসিকে যদি ব্রেক ইভেন পয়েন্টে (যে অবস্থানে থাকলে লাভ-লোকসান কিছুই হয় না) রাখতে হয়, তাহলে বিশ্ববাজারে পরিশোধিত ডিজেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০৪ ডলারে আসতে হয়। এখনো প্রতি ব্যারেল পরিশোধিত ডিজেলের দাম প্রায় ১০৮-১০৯ ডলার। ’

এদিকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় এখন দেশেও দাম কমানোর দাবি তুলছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে যদি জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়, তাহলে বিপিসির লোকসান আরো বেড়ে যাবে। লোকসানে থাকা বিপিসি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না বলে জানান জ্বালানি বিভাগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, লোকসানে থাকা বিপিসিকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে হবে। তা না হলে সামনে জ্বালানি বাজার আবার অস্থির হয়ে উঠলে বিপিসির পক্ষে তখন সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

এ ব্যাপারে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যেহেতু বিপিসি ডিজেলে এখনো কিছুটা লোকসান দিচ্ছে, তাই এই মুহূর্তে দাম কমানোর যৌক্তিকতা নেই। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে যে পরিমাণ পরিবহন ভাড়া বেড়েছে, এখন দাম কিছুটা কমানো হলেও পরিবহন ভাড়া কমবে না। এতে মানুষ কোনো সুবিধা পাবে না। এর চেয়ে ভালো সরকার আয় করুক, যাতে পরবর্তী সময়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে ভর্তুকি হিসেবে দিতে পারে। ’

তিনি বলেন, ‘এই টাকা অন্য খাতে যেন ব্যবহার করা না হয়। তবে সরকার চাইলে অকটেন ও পেট্রলে দাম কমাতে পারে। ’

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে লোকসান হয় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।

জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধে বিপিসিকে দুই মাসের জ্বালানি তেলের মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ (২৫ শতাংশ বৃদ্ধিসহ) চলতি মূলধন হিসেবে রাখতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বাড়লে বিপিসির মূলধনও বাড়াতে হয়। ২০২০-২১ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল তুলনামূলক সহনশীল থাকায় ওই সময় বিপিসির ১২ হাজার কোটি টাকা চলতি মূলধন রাখা হতো। এখন রাখা হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।

 

কালের কণ্ঠ অনলাইন হতে সংগৃহীত




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT