লকডাউনে কাঁটাবনের প্রায় ৪শ’ প্রাণীর মৃত্যু
ডেক্স রিপোর্ট শুক্রবার ১২:৪৫, ১৬ জুলাই, ২০২১
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে জারি করা কঠোর লকডাউন চলাকালীন দোকান খুলতে না পেরে রাজধানীর কাঁটাবনে বৃহত্তম পোষা প্রাণীর মার্কেটে চার শতাধিক প্রাণী মারা গেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দোকানের মালিক ও অধিকার কর্মীরা।
এক সাক্ষাৎকারে দোকান মালিক মোহাম্মদ পলাশ বলেন, দোকানের দরজা খোলা রাখা দরকার যাতে প্রাণীগুলোর দমবন্ধ না হয়।
কাটাবন বাজারের স্টোর মালিক সমিতির মুখপাত্র রহমান শিকদার জানান, ১ জুলাই বাজার বন্ধ হওয়ার পর থেকে প্রায় ৪০০ পাখি এবং কয়েক ডজন কুকুর, বিড়াল, খরগোশ, ইঁদুর এবং গিনিপিগ মারা গেছে। আমাদের কমপক্ষে ২০% প্রাণী মারা গেছে।
এদিকে প্রাণী মৃত্যুর ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সরকার বুধবার (১৪ জুলাই) থেকে পুলিশকে দোকানগুলোর দরজা সকালে দু’ঘণ্টা এবং দুপুরে দু’ঘন্টার জন্য খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে প্রাণী অধিকার কর্মীরা দোকানগুলোয় বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পোষা প্রাণী রাখার জন্য অভিযোগ করেন।
প্রাণী অধিকার সংগঠন “অভয়ারণ্য” এর প্রধান রুবাইয়া আহমদ জানান, প্রথমত কাঁটাবনের মতো এমন জায়গাই থাকা উচিত না। সেখানে প্রাণীগুলোকে ইতোমধ্যেই অত্যন্ত অমানবিক পরিস্থিতিতে রাখা হয়। আর লকডাউনের মধ্যে এমন করুণ মৃত্যুর মুখোমুখি হবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
“প্রাণীদের এভাবে বন্দি করে রাখা হলে যে কোনো খারাপ পরিস্থিতিতে তারা আগে দূর্ঘটনার শিকার হয়,” তিনি আরও যোগ করেন।
বুধবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (১৪ জুলাই) পুলিশ কাঁটাবন এলাকায় টহল দিচ্ছিল। কয়েকজন কর্মকর্তা অল্প সময়ের জন্য বাইরের দরজা খোলার জন্য দোকানদারদের অনুমতি দেয়।
দোকান মালিক বাপ্পি খান বলেন, “আমরা যদি দোকানের শাটারগুলো খোলা রাখি তাহলে পুলিশ জরিমানা করে।”