লকডাউনের আগে ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে
ডেক্স রিপোর্ট বৃহস্পতিবার বিকেল ০৪:০৪, ২২ জুলাই, ২০২১
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামীকাল শুক্রবার কঠোরতম বিধিনিষেধ শুরুর আগে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে।
ছুটি না পাওয়া, যানবাহন না পাওয়াসহ নানা কারণে যারা ঈদের আগে ঢাকা ছাড়তে পারেননি, তারা আজ যানবাহন চালু থাকার শেষ দিনে গ্রামে যাচ্ছেন। আজ যারা ঢাকা ছাড়ছেন, তাদের মধ্যে বিধিনিষেধে কাজ ও উপার্জন বন্ধ থাকবে, এমন শ্রেণির লোক উল্লেখযোগ্য। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে এই চিত্র দেখা যায়।
সকাল থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় লেগে থাকতে দেখা যায়। যাত্রীদের একটা অংশ পরিবার-পরিজন নিয়ে বাস টার্মিনালে এসেছে।
গাবতলী বাস টার্মিনালে থাকা সব কটি পরিবহন কোম্পানির কাউন্টার আজ খোলা রয়েছে। কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের চাপ রয়েছে।
বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কঠোরতম বিধিনিষেধে সবকিছু বন্ধ থাকবে। ফলে ঢাকায় তাদের করার কিছু থাকবে না। এ কারণে তারা পরিবার নিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন। বিধিনিষেধ উঠে গেলে আবার ঢাকায় ফিরবেন। গ্রামে গিয়ে তারা কিছু কাজকর্ম করে টিকে থাকার চেষ্টা করবেন।
ঢাকা-ফরিদপুর-বরিশাল-বাকেরগঞ্জ-পটুয়াখালী-আমতলী-খেপুপাড়া-কুয়াকাটা রুটে চলে গোল্ডেন লাইন। এই পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার শাহ আলম বলেন, বাইরে থেকে যত মানুষ আসছে, তার চেয়ে দ্বিগুণ মানুষ আজ ঢাকা ছাড়ছে। ১৪ দিনের বিধিনিষেধের কারণে মানুষ এখন গ্রামে যাচ্ছে।
আজ ভোর সোয়া ৫টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত গাবতলী থেকে গোল্ডেন লাইনের ৩০টি বাস ছেড়ে গেছে বলে জানান শাহ আলম। তিনি বলেন, প্রতিটি বাসই যাত্রীতে ভর্তি ছিল।
ঢাকা-নাটোর-রাজশাহী-চাঁপাই-শিবগঞ্জ-কানসাট রুটের গ্রামীণ ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার মো. আলম বলেন, আজ অনেক মানুষ যাচ্ছে। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে বাস ছাড়বে। বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে বাসের প্রায় সব আসনের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। আজ বাসের সব সিট নির্ধারিত সময়ের আগেই পূরণ হয়ে যাচ্ছে।
আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতুসহ ওই এলাকায় প্রচুর যানজট আছে। সে জন্য আমাদের বাস সময়মতো ঢাকায় আসতে পারেনি। এ কারণে সকালে আমাদের ট্রিপের বাস গন্তব্যে যায়নি। তারপর বাস এলে পরপর চারটা ছেড়ে যায়।
করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে। এই বিধিনিষেধ ‘কঠোরতম’ হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।