ঢাকা (সকাল ৬:১৩) মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

Join Bangladesh Navy


রাণীনগরে নিখোঁজের তৃতীয় দিনে ভ্যান চালক যুবকের লাশ উদ্ধার

রাণীনগরে নিখোঁজের তৃতীয় দিনে ভ্যান চালক যুবকের লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি নিজস্ব প্রতিনিধি Clock রবিবার রাত ০৯:৫০, ১০ নভেম্বর, ২০১৯

আবু ইউসুফ, নওগাঁ প্রতিনিধি  : নওগাঁর রাণীনগরে নিখোঁজের তিন দিনের মাথায় হযরত আলী (২৮) নামের এক ভ্যান চালক যুবকের লাশ মাঠের মধ্য পুকুর পার থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যা নাগাদ তার লাশ উদ্ধার করা হয় । হযরত আলী কালীগ্রাম দীঘির পাড় গ্রামের মকবুল হোসেন ফকিরের ছেলে ।
স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার দুপুরে জুমার নামায পড়ার জন্য বাড়ী থেকে বের হয়ে যায় হযরত। এর পর রাতে বাড়ীতে ফিরে না আসায় আত্মীয়স্বজদের বাড়ীসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে তার কোন সন্ধ্যান পায়নি। এর পর গতকাল রোববার বেলা আড়াইটা নাগাদ কালীগ্রাম কসবাপাড়া -ভেবড়া সড়কের উত্তরে মাঠের মধ্যে যুগগাড়ীনামক পুকুর পারে লোকজন লাশ পরে থাকতে দেখে।
খবর পেয়ে সন্ধ্যা নাগাদ এডিশনাল এসপি (সার্কেল) লিমন রায়,রাণীনগর থানার ওসিসহ পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরির্দশন করে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
হযরত আলীর বাবা মকবুল হোসেন জানান,উপজেলার চকার পুকুর গ্রামে নিজ মামাতো বোনকে বিয়ে করে হযরত আলী। সংসার জীবনে তাদের ঘরে দু’কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। হঠাৎ করে গত একমাস আগে বিকেলে ডাক্তারের নিকট যাবার কথা বলে হযরত আলীর স্ত্রী বাড়ী থেকে চলে যায়। এর পর আর বাড়ীতেফিরে আসেনি।
হযরত আলীর সাথে স্থানীয়ভাবে কারো কোন বিরোধ ছিলনা বলে জানান বাবা মকবুল হোসেন। তবে কেন কিভাবে তার মৃতু হয়েছে তা বলতে পারছেনা কেউ। স্থানীয়রা ধারনা করছেন হয়তো হত্যা করে কেউ তার লাশ পুকুর পারে ফেলে রেখে গেছে।
হযরত আলী ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো।
রাণীনগর থানার ওসি মো: জহুরুল বলেন, খবর পেয়ে সার্কেলসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ডান পায়ে মাংস ছিলনা। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছোট-খাটো ক্ষত ছিল। ময়না তদন্ত রির্পোট না পাওয়া পর্যন্ত স্পস্ট করে কিছু বলা যাচ্ছেনা। তার পরেও বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।



শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT