ঢাকা (রাত ১০:০৪) মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Join Bangladesh Navy


রসায়ন বইয়ের বিখ্যাত লেখক প্রফেসর নূরুল হক মিয়া আর নেই

শোক সংবাদ ২৪৯৩ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি নিজস্ব প্রতিনিধি Clock রবিবার ১২:৫৯, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ঢাকা কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল প্রফেসর মো. নূরুল হক মিয়া আর নেই।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। তিনি জানান, আজ এশার নামাজের পর সাত মসজিদ চত্বরে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে রাজধানীর কেরানীগঞ্জের  ঘাটারচরে পারিবারিক গোরস্থানে শাইখুল হাদীস আজিজুল হক (রহ.) এর পাশে দাফন করা হবে।

প্রফেসর নূরুল হক মিয়া বিখ্যাত ছিলেন রসায়নবিদ হিসেবে। কেমিস্ট্রি প্রফেসর হিসেবে তার খ্যাতির মূল কারণ ছিল বই। ইন্টার ও ডিগ্রি ক্লাসে রসায়নের ওপর লিখিত তার সাতটি বই সিলেবাস ভুক্ত। বিশেষ করে ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত সারা দেশে এককভাবে রাজত্ব করেছে এইচএসসির তার লেখা রসায়ন বইটি। দ্বিতীয় কোন বই ছিল না।

১৯৬৯ এ শিক্ষকতার পেশায় যোগ দিয়ে অধ্যাপনা করেছেন দেশসেরা প্রতিষ্ঠানসমূহে। সিলেট এমসি কলেজ, ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ, টাংগাইল করোটিয়া কলেজ, ঢাকা বিজ্ঞান কলেজ, জগন্নাথ কলেজ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। প্রায় দীর্ঘ এক যুগ ছিলেন ঢাকা কলেজে। কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের হেড ছিলেন চার বছর। সর্বশেষ ২০০১ সালে তিনি ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রফেসর মো. নূরুল হক মিয়ার আরও একটি পরিচয় হলো তিনি হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক সাহেবের ভগ্নিপতি তিনি।

১৯৪৪ সালের ১ জুলাই গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার অজপাড়া জন্ম নেয়া নূরুল হক শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। পড়াশুনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টে। সেশন ১৯৬৬-৬৭। থাকতেন ফজলুল হক মুসলিম হলের ৩৫৯ নম্বর রুমে।

পড়াশুনার জীবনের সঙ্গিসাথিদের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিখ্যাত অনেকেই আমাদের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো। আমার পাশেই ৩৬১ নম্বর রুমে থাকতো আব্দুর রাজ্জাক। তিনি পড়তেন পলিটিক্যাল সাইন্সে। তিনি আমার এক বছরের সিনিয়র ছিলেন। আমরা এক সঙ্গে চার বছর ছিলাম। তার সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল আমার। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সাবেক শীর্ষনেতা ও মন্ত্রী ছিলেন।

প্রফেসর মো: নূরুল হক মিয়া শিক্ষাজীবনে তোফায়েল আহমদ, ফেরদাউস আহমদ কোরাইশি, সিরাজুল আলম খানের সঙ্গে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ট ছিলেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, নিভৃতচারী এই জ্ঞানতাপস সারা জীবন সহজ সরল জীবন যাপন করেছেন। যতদিন প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রিন্সিপালের সুবিধাগুলো নেননি। সরকারি গাড়ি, সরকারি বাংলো কোনো কিছুই নেননি। এমনকি মোবাইল ফোনও না। লালবাগের বাসা থেকে পায়ে হেটেই অধিকাংশ সময় কলেজে আসতেন। যখন প্রিন্সিপাল ছিলেন তখনো একই নিয়ম ছিল।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT