মহেশখালী মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে পৌছেছে প্রথম বিদেশি জাহাজ
শফিউল আলম,কক্সবাজার মঙ্গলবার বিকেল ০৫:৪২, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০
দেশের সর্ববৃহৎ গভীর সমুদ্র বন্দরের মাতারবাড়ি কোলপাওয়ার সংলগ্ন জেটিতে পানামার পতাকাবাহী ১২০ মিটার লম্বা ও নয় হাজার ৬৮০ টন ওজন ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ ‘ভেনাস ট্রায়াম্প’ আজ সকাল ১০টায় মহেশখালীর মাতারবাড়ি কোলপাওয়ার জেটিতে পৌঁছছে।
বন্দর সংশ্লিষ্ট্যদের তথ্যমতে, গেল ২২ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার ‘পেলাভুবন সিলেগন’ বন্দর থেকে মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ নিয়ে মাতারবাড়ি নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্র বন্দরের দিকে রওনা দেয় এই জাহাজটি। এর ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতা) সাড়ে পাঁচ মিটারের বেশী। বন্দরের গভীরতা সাড়ে আট মিটার। কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানীর নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমা মাতারবাড়ী পর্যন্ত বিস্তৃত। তাই পোর্ট অফ কল ধরা হবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে। জাহাজটি ভিড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের মাসুল আদায় থেকে সব কিছুই করবে চট্টগ্রাম বন্দর।
পরীক্ষামূলক ভাবে কোন ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই জাহাজটি পৌঁছছে। আগামী ২০২৫ সালে পূর্ণভাবে বন্দর চালু হবে। পানামা থেকে আসা ভেনাস ট্রায়াম্প’ জাহাজটি সেটির প্রস্থ ২৫০ মিটার, গভীরতা ১৮ মিটার ও দৈর্ঘ্য ১৪ কিলোমিটার। এছাড়াও সাড়ে তিন কিলোমিটারের বেশী এলাকায় জেটি নির্মাণ করছে কর্তৃপক্ষ।মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য কৃত্রিম চ্যানেল খনন করে জাহাজ ভেড়ানোর কাজ শুরু হয়েছিল। পরে সেটিকে সমুদ্র বন্দরের রূপ দিতে কাজ শুরু করে সরকার।
জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প। দুই ধাপে বাস্তবায়িত হতে যাওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের মধ্যে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। কাজ শেষ হওয়ার পর এই বন্দরে ভিড়তে পারবে ১৮ মিটার গভীরতার জাহাজ।
মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজ করছেন ১৭ টি দেশের ৭ শতাধিক বিদেশী শ্রমিক। এছাড়াও ৩ হাজার ৮০০ জন দেশের বিভিন্ন এলাকার শ্রমিক রয়েছেন।