ঢাকা (রাত ১২:২৩) শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Join Bangladesh Navy


মডেল ইউনিয়ন গড়তে আবারো মনোনয়ন প্রত্যাশী স্বর্নপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান

ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর,ময়মনসিংহ ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর,ময়মনসিংহ Clock বুধবার সন্ধ্যা ০৬:০৬, ১১ নভেম্বর, ২০২০

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ০৫ নং সহনাটী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে এবং উন্নয়নের রূপকার জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আবারো দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।

সহনাটী ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় যে কোন ধরণের সামাজিক-সাংস্কৃতিক-ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে উনার উপস্থিতি লক্ষণীয়। এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে থাকেন তিনি। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই যার মূল লক্ষ্য ছিলো এলাকার উন্নয়ন। তিনি ছোট থেকেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হয়ে পূর্বের চেয়ারম্যানদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিলো তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাতে নিজেকে যুক্ত করতে পেরে আওয়ামীলীগ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের একজন কর্মী হিসেবে আমি খুবই গর্বিত। সব সময় চেষ্টা করি সরকার ঘোষিত যে কোন ধরণের উন্নয়ন কর্মসূচীকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে।’

ইতোমধ্যেই, তিনি পাছার বাজার হতে ইউনিয়নের সীমানাঘেঁষা ভালুকাপুর বাজার পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার, পাছার বাজার হতে ধোপাজাঙ্গালিয়া মোড় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার, সহনাটী পাছপাড়া মোড় হতে রাইশিমুল মসজিদ পর্যন্ত ২ কিলোমিটার, তাঁতিরপায়া মোড় হতে সোনামপুর মোড় পর্যন্ত ১.৫ কিলোমিটার, কোকুয়ালি মোড় হতে গিধাঊষা মোড় পর্যন্ত ১.৫ কিলোমিটার, পাছার বাজার হতে বেখৈরহাটি বাজার পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করে দিয়েছেন। জুগিয়াডাঙ্গুরি বড় খালের উপর একটি সেতু নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও জলবুরুঙ্গা নদীর উপর দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করেছেন (যার কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও ২০২০-২০২১ অর্থবছরে উদ্বোধন এবং ব্যবহারের জন্য খোলে দেওয়া যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন।) জুগিয়াডাঙ্গুরি হতে মাসকান্দা পর্যন্ত ২ কিলোমিটার, ধোপাজাঙ্গালিয়া পাকা রাস্তা হতে সানিয়াপাড়া নতুন বাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার, ভুঁইয়ার বাজার হতে পল্টিপাড়া পর্যন্ত ১.৫ কিলোমিটার, সহনাটী হরিজনপল্লী’র নিকটস্থ পাকা রাস্তা হতে পাত্রাইল পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা সংস্কার করেছেন। ধোপাজাঙ্গালিয়া পাকা রাস্তা হতে টেংগাপাড়া হয়ে বড়ইবাড়ি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণ করে দিয়েছেন। উল্লেখিত রাস্তাগুলোতে বর্ষার সময় পানি জমে কাঁদা হয়ে যাওয়ায় জনগণের চলাচলে কষ্ট হতো তাই সেসব রাস্তা সংস্কার করে তিনি ইউনিয়নবাসীর দুর্দশা লাঘব করেছেন এবং ব্যবহার উপযোগী করে দিয়েছেন।

একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি হিসেবে চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান তাঁর নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে সিলিংফ্যান, আলমারি, চেয়ার, টেবিলসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণসহ খেলাধূলার সামগ্রীও প্রদান করেছেন। পাছার ছামাদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ২ কক্ষবিশিষ্ট ৩০ ফুট দৈঘ্যের একটি ঘর তৈরী করে দিয়েছেন এবং একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করে দিয়েছেন।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য ৩ হাজার জনকে বয়স্ক ও বিধবাভাতার ব্যবস্থা, ৪শ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিকে প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা, ৩শ জন গর্ভবতী মহিলাকে মাতৃত্বকাল ভাতার ব্যবস্থা, ২ হাজার ১শ জনকে ১০ টাকা কেজি চালের ব্যবস্থা, ৭শ জনকে বিনামুল্যে ৩০ কেজি করে চাল প্রদানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এছাড়া বয়স্ক ও বিধবাভাতা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যে জেলায় শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

এসব জনহিতৈষী সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকমূলক উন্নয়ন কাজের জন্য এলাকার জনগণের কাছ থেকে তিনি ভ‚য়সী প্রসংশা কুঁড়িয়েছেন। তাঁর এসব জনকল্যাণমূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয়ভাবেও পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার। তার মধ্যে ২০১৬ সালে সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন শেরে বাংলা একে ফজলুল হক স্বর্ণপদক, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক স্বর্ণপদক-২০২০ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন, জেনারেল উসমানী স্বর্ণপদক-২০১৬, জেনারেল উসমানী এ্যাওয়ার্ড-২০১৭, মানবাধিকার পিস এ্যাওয়ার্ড-২০১৭, লোকাল রুর‌্যাল ডেভেলপমেন্ট এ্যাওয়ার্ড-২০১৭, ইউনিয়ন পরিষদ স্বর্ণপদক-২০১৮, ময়মনসিংহ জেলায় শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে লোকাল উইমেন স্কিল ডেভেলপমেন্ট রেপুটেশন-২০১৮ অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ইউনিয়ন ফোরাম এর আজীবন সদস্যপদ লাভ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। এসব পুরস্কার অর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পুরস্কার প্রাপ্তির সমস্ত কৃতিত্বই আমার ইউনিয়নবাসীর।’

এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর আগে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা শুধু সরকারি বাজেট নিয়েছেন কিন্তু তার সঠিক ব্যবহার করে যতোটুকু উন্নয়ন কাজ করার প্রয়োজন ছিলো তা করেনি। আমি ইউনিয়নকে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতার মধ্যে নিয়ে আসি। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পূর্বে ইউনিয়নটি মাদক, সন্ত্রাস ও ষাঁড়ের লড়াইয়ের নামে জুয়ার আড্ডাখানা হিসেবে বদনাম ছিলো। বর্তমানে ইউনিয়নবাসীকে সাথে নিয়ে মাদক, সন্ত্রাস ও জুয়ার আড্ডা বন্ধ করে সেই বদনাম ঘোচাতে সক্ষম হয়েছি। ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ রোধ করেছি, নারী নির্যাতনবন্ধ করেছি।”

তিনি আরো বলেন, “সমাজের সকল স্তরের মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা নিয়ে চলতে চাই। ইউনিয়নবাসীর ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি তাই তাদের সেবা করার জন্য এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে আমি আবারো দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। দলীয় মনোনয়ন পেলে আমি ইনশাল্লাহ আবারো নিরঙ্কুশভাবে নির্বাচিত হতে পারবো। সেই সঙ্গে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে, জনগণের সার্বিক সহযোগিতায় আমার ইউনিয়নকে একটি আধুনিক মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করতে পারবো।”




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT