ঢাকা (সন্ধ্যা ৭:৪৪) মঙ্গলবার, ১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News সিলেট নগরীতে ভোর বেলায় ঝটিকা মিছিলের মূল হোতা ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার Meghna News অসুস্থ রেজওয়ানুল ইসলাম রায়হানের শয্যাপাশে দুধরচকী Meghna News গৌরীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অটোরিকশা চালক নিহত Meghna News ফতুল্লায় গ্রেফতার হওয়া স্বপনের মুক্তির দাবিতে গৌরীপুরে মানববন্ধন Meghna News ৮১ বছর পর কুমিল্লা থেকে নিজ দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ২৪ সেনার দেহাবশেষ Meghna News সিলেট নগরীতে ভোর বেলায় হঠাৎ জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধুর ঝটিকা মিছিল Meghna News গৌরীপুর মহিলা কলেজে নবীনবরণ ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Meghna News সিলেটে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষের মাঝে নাভিশ্বাস Meghna News সাইফুল প্রধানের হাতের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে ঢাকারগাঁও গ্রামের সমাজব্যবস্থা ও উন্নয়নচিত্র Meghna News বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাকা প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বিয়ের আয়োজন হল,রান্না হল,বরযাত্রীদের খাওয়ানো হল,কিন্তু বিয়ে আর হলোনা

মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) Clock শুক্রবার রাত ০৮:০২, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী (১৬) বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। গত ১১-১২-২০২০ইং বৃহস্পতিবার রাত সোয়া আটটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান কনের বাড়িতে গিয়ে ওই বিয়ে বন্ধ করে দেন।

কনের বাবা বলেন, ‘ভালা জামাই ফাইয়া মেয়েডার বিয়া দিতাম চাইছিলাম। ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেওন যাইতো না এইডা আমার জানা আছিন না।

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে ওই ইউনিয়নের কাজল সরকার নামের এক তরুণের (২৫) গতকাল রাত নয়টার দিকে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বর ও বরযাত্রীদের স্বাগত জানাতে কনের বাড়ির সামনে তৈরি করা হয় গেট ও অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য তৈরি করা হয় প্যান্ডেল। রাত আটটার দিকে বরসহ ২৫-৩০ জন বরযাত্রী কনের বাড়িতে উপস্থিত হন। বাল্যবিবাহের আয়োজনের খবরটি পেয়ে রাত সোয়া আটটার দিকে ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান ধর্মপাশা থানার পুলিশ নিয়ে কনের বাড়িতে উপস্থিত হন। পরে ছাত্রীটির বিদ্যালয়ের কাগজপত্র ঘেঁটে ইউএনও দেখতে পান ছাত্রীটির জন্মতারিখ ২০০৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর। এ সময় তিনি কনের বাবা ও বরের বড় ভাই সজল সরকারকে তাঁর সামনে এনে উপস্থিত করেন। এ সময় তিনি বাল্যবিবাহের কুফল ও রাষ্ট্রীয় আইনে এ ধরনের বিয়ের কোনো স্বীকৃতি নেই, এমনটি বুঝিয়ে বলার পর সজল সরকার ও কনের বাবা এই বাল্যবিবাহটি বন্ধ করতে সম্মত হন।

এ নিয়ে বরের ভাই ও কনের বাবা উপস্থিত লোকজনের সামনে ইউএনওর কাছে ক্ষমা চান। ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত নিজ মেয়েকে বিয়ে না দেওয়া এবং ১৮ বছরের আগে কোনো মেয়েকে বিয়ে না করানোর ব্যাপারে তাঁরা দুজন লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে বরযাত্রীরা কনের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া শেষ করে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যান।

ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান সাংবাদিকদের বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি ও অপরাধ। রাষ্ট্রীয় আইনে বাল্যবিবাহের কোনো স্বীকৃতি নেই। জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, সাংবাদিকসহ সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার কারণে এই বিয়েটি ঠেকিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বাল্যবিবাহ রোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT