ঢাকা (দুপুর ২:০০) সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Join Bangladesh Navy


প্রথম ডিজিটাল বিভাগীয় শহর হিসেবে সিলেট শহর তার পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে

সিলেট জেলা ২৫৫১ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি নিজস্ব প্রতিনিধি Clock শনিবার রাত ১১:১২, ১৪ মার্চ, ২০২০

সিলেট প্রতিনিধি:   সিলেট মহানগরে ‘ফ্রি ওয়াইফাই’ চালু হয়েছে। ডিজিটাল নগরীর এটি প্রথম ধাপ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন এমপিকে সে জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন নগরবাসী।পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট-১ আসনের এমপি নির্বাচিত হবার পর ঘোষণা দিয়েছিলেন সিলেট মহানগরে ‘ফ্রি ওয়াইফাই’ চালু করবেন।এবং সিলেটকে একটি আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলবেন। আর সে জন্য তাকে বলা হয় আধুনিক এবং ডিজিটাল সিলেটের স্বপ্নদ্রষ্টা।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) থেকে নগরের গুরুত্বপূর্ণ ১২৬ এক্সেস পয়েন্টে ফ্রি ইন্টারনেট সেবা চালু করার মাধ্যমে দেশের প্রথম বিভাগীয় ডিজিটাল নগরী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলো ৩৬০আউলিয়ার ভূমি সিলেট।যার ইউজার নেইম আসবে; ডিজিটাল বাংলাদেশ, যার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে জাতীয় শ্লোগানের নামানুসারে “জয় বাংলা”।
নগরের উপশহর পয়েন্টে স্কুলের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান তামিম (১৪ই মার্চ) ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করছেন। তিনি এ উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনকে ধন্যবাদ জানান।
সূত্র মতে জানা , ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের সবগুলো ইউনিয়নকে ডিজিটালাইজেশন করার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সূচনা করেন। ২০১৫ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশে আসার পর সিলেট শহরকে ডিজিটাল শহর করার চিন্তা করেন এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের সাথে আলোচনা করেন। এক্ষেত্রে তখনকার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনকে উৎসাহ দেন। এর জন্য ৫০ কোটি টাকার একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এক পর্যায়ে ৩০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু হয়।
সেই ধারাবাহিকতায় আজকের ডিজিটাল সিলেট প্রকল্পের আওতায় পাবলিক ওয়াইফাই জোন স্থাপন করা হচ্ছে। কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল বিভাগীয় শহর হিসেবে সিলেট শহর তার পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে। বর্তমানে উন্নত বিশ্বে অত্যাধুনিক সিস্টেম ব্যবহৃত হচ্ছে এখন থেকে সিলেটেও সেসব প্রযুক্তির ব্যবহার চালু হয়েছে। উন্নত দেশের মানুষের মাথা পিছু আয় আমাদের থেকে অনেক বেশি। কিন্তু তারা তাদের জনগণকে যে সেবা দেয়, আমাদের সরকার জনগণকে সেই একই সেবা প্রদান করার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল বিভাগীয় শহর হিসেবে সিলেট ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।
বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ওয়াইফাই জোন স্থাপনের কার্যক্রম শুর হয়ে গেছে। প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এসব ওয়াইফাই জোন দেখবে । পরবর্তীতে এগুলোর পুরো তদারকি করবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
সিলেটের যেসব স্থানে থাকবে ওয়াইফাই পয়েন্ট :চৌকিদেখিতে ১টি, আম্বরখানা পয়েন্টে ৪টি, শাহজালাল দরগা গেইটে ২টি, চৌহাট্টায় ৩টি, জিন্দাবাজারে ৪টি, বন্দরবাজার ফুটওভার ব্রিজ এলাকায় ৩টি, হাসান মার্কেট এলাকায় ৫টি, সুরমা ভ্যালি রেস্ট হাউস এলাকায় ২টি, সার্কিট-হাউস জালালাবাদ পার্ক এলাকায় ৩টি, ক্বীন ব্রিজের দুই প্রান্তে ৬টি, রেলওয়ে স্টেশনে ৪টি, বাস টার্মিনালে ৩টি, কদমতলী পয়েন্ট ও সংলগ্ন এলাকায় ৫টি, হুমায়ুন রশীদ চত্বরে ৩টি, আলমপুর পাসপোর্ট অফিস এলাকায় ২টি, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এলাকায় ৩টি, সিলেট শিক্ষাবোর্ডে ২টি, উপশহর রোজভিউ পয়েন্টে ২টি, শহাজালাল উপশহর ই-বøক ও বি-বøকে ১টি করে ২টি, টিলাগড় পয়েন্টে ৩টি, এমসি কলেজ এলাকায় ২টি, শাহী ঈদগাহ এলাকায় ৩টি, কুমারপাড়া এলাকায় ৩টি, কুমারপাড়া সড়কে ২টি, দক্ষিণ বালুচরে ১টি, টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ১টি এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ১টি এক্সেস পয়েন্ট থাকবে।
এছাড়াও সিলেট নগরীর নাইওরপুল পয়েন্টে ২টি, মিরাবাজার সড়কে ১টি, রায়নগর এলাকায় ১টি, সোবহানীঘাট পুলিশ স্টেশন এলাকায় ২টি, ধোপাদিঘীরপাড় বঙ্গবীর ওসমানী শিশু উদ্যানে ১টি, বন্দরবাজার জামে মসজিদ এলাকায় ২টি, নয়াসড়ক পয়েন্ট ও সংলগ্ন এলাকায় ৪টি, কাজীটুলা এলাকায় ২টি, চৌহাট্টা সড়কে ৩টি, হাউজিং এস্টেট সড়কে ১টি, সুবিদবাজারে ১টি, মিরের ময়দানে ১টি, পুলিশ লাইন সড়কে ১টি, রিকাবীবাজার জেলা স্টেডিয়ামে ২টি, মদন মোহন কলেজ এলাকায় ১টি, মির্জাজাঙ্গাল সড়ক এলাকায় ২টি, পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট এলাকায় ১টি, খুলিয়াপাড়া এলাকায় ১টি, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি এলাকায় ১টি, তালতলা হোটেল গুলশান এলাকায় ১টি, কাজিরবাজার সেতু এলাকায় ১টি, কাজিরবাজার সড়কে ২টি, খোজারখলা সিলেট টেকনিক্যাল কলেজ এলাকায় ১টি, বাগবাড়ি ওয়াপদা মহল্লা এলাকায় ১টি, পাঠানটুলায় ১টি, মদিনা মার্কেট পয়েন্টে ২টি, শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গেটে ২টি এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজ এলাকায় ১টি এক্সেস পয়েন্ট থাকবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এসব এক্সেস পয়েন্টের প্রতিটিতে একসঙ্গে ৫০০ জন যুক্ত থাকতে পারবেন। এরমধ্যে একসঙ্গে ১০০ জন উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিটি এক্সেস পয়েন্টের চতুর্দিকে ১০০ মিটার এলাকায় ব্যান্ডউইথ থাকবে ১০ মেগাবাইট/সেকেন্ড।



শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT