ধর্মপাশা উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মৎস্যজীবি লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদককে জড়িয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ধর্মপাশায় মানববন্ধন
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) সোমবার বিকেল ০৪:২৯, ১৬ নভেম্বর, ২০২০
সুনামগেঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ মুরাদ ও বাংলাদেশ মৎস্যজীবি লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রেজুয়ান আলী খান আর্নিককে জড়িয়ে ওই দুজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একাংশের উদ্যোগে এই মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে ছাত্রলীগ,যুবলীগ,জাতীয় শ্রমিক লীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, আওয়ামী লীগ ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দসহ সহস্রাধিক মানুষ এতে অংশ নেয়।
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক জুবায়ের পাশা হিমুর পরিচালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমাণ্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন তালুকদার, উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ তালুকদার, ধর্মপাশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ধর্মপাশা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের ধর্মপাশা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন বেপারী, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি এম.আর খান পাঠান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন খান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ মুরাদ ও বাংলাদেশ মৎস্যজীবি লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রেজুয়ান আলী খান আর্নিক নিজ নিজ এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁরা দুজনই আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। গত ১১নভেম্বর ঢাকার একটি আদালতে ওই দুজনকে জড়িয়ে এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্ঠায় জড়িত থাকার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ধর্ষণের চেষ্ঠার ঘটনাটি উল্লেখ করা হয়েছে চলতি বছরের ১নভেম্বর। ওইদিন শামীম আহমেদ মুরাদ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলা শহরে ছিলেন। স্বনামধন্য কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সুনামগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের দুইজন সদস্যের সঙ্গে তিনি সকাল ১০টা থেকে শুরু করে ওইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় কাটিয়েছেন। আর রেজুয়ান আলী খান আর্নিক ওইদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবি লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। ওই দুজন জনপ্রিয় নেতাকে ফাঁসানোর জন্য পূর্ব পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রভাবশালী একটি কুচক্রী মহল ধর্ষণের চেষ্ঠার এ মিথ্যা কল্প কাহিনী সাজিয়েছে। শামীম আহমেদ মুরাদ গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রতীক নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেন রোকন। নির্বাচনে সাংসদ রতনের নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে নির্বাচনে জয়ী করেছিলেন।
বক্তারা আরও বলেন, গত বছরের ১অক্টোবর সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাংসদ রতনের নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে ভূমিকা রাখা, স্বজনপ্রীতি, অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করাসহ নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে একটি প্রতিবাদী বক্তব্য দেন। এই বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাস হওয়ায় শামীম আহমেদ মুরাদে ওপর চরম ক্ষিপ্ত হন সাংসদ রতন। শামীম আহমেদ মুরাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হলেন রেজুয়ান আলী খান আর্নিক। তাই ধর্ষণ চেষ্ঠার ঘটনায় মিথ্যা মামলায় ওই দুজন নেতা সাংসদ রতনের ষড়যন্ত্রে শিকার হয়েছেন। বক্তারা আরও বলেন, দ্রুত এই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলাটি প্রত্যাহার করা না হলে এ নিয়ে আগামী দিনে কঠিন আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জ ১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সাংবাদিকদের বলেন, ধর্ষণ চেষ্ঠার ঘটনাটি যেইদিন ঘটেছে সেদিন আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। আমার অপারেশন হয়েছিল। ধর্ষণ চেষ্ঠার ঘটনার সঙ্গে আমার কোনোরধরণের সম্পৃক্ততা নেই।আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা, বানোযাট ও ভিত্তিহীন। এই আসনে আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে জড়িয়ে নানাধরণের কল্পকাহিনী বানিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।