ধর্মপাশায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জ সোমবার দুপুর ০২:৪৭, ১৯ অক্টোবর, ২০২০
লাল সবুজের বাংলাদেশ, দুর্নীতির তো নেইকো শেষ এই স্লোগানকে সামনে রেখে পল্রী বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতি. অপকর্ম ও স্বেচ্ছাচারিতা, নিরবিচ্চিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহকরণ,জরুরি ভিত্তিতে উপজেলা সদরে পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস( আঞ্চলিক) কার্যালয় নির্মাণের দাবিতে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এক মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন সংগঠন এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে বক্তব্য দেন উপজেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন সংগঠনের আহ্বায়ক এ.কে..এম ওহীদুল ইসলাম কবীর, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জুবায়ের পাশা হিমু, ধর্মপাশা সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ, খয়েরদিরচর গ্রামের বাসিন্দা ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব তালুকদার, ইউপি সদস্য আবুল কাশেম,হলিদাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা সাইকুল ইসলাম,সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা জিল্লুর রহমান,কবি আনিসুল হক লিখন, মাসুদ রানা প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, আমাদের উপজেলাটি নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পল্লী বিদ্যুতের সীমাহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে এ উপজেলার হাজার হাজার গ্রাহকেরা অতিষ্ঠ।একবার বিদ্যুৎ গেলে কখন বিদ্যুৎ আসবে তার কোনো খবর থাকে না। এ উপজেলার দিনে রাতে মিলিয়ে ২৪ঘন্টার মধ্যে মাত্র ৮ঘন্টা সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ফলে প্রচণ্ড গরেমে শিশু ও বৃদ্ধ বয়সের মানুষজনদেরকে চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া মিটার দেখে বিল প্রস্তুত করা হয় না। ফলে ভুতুরে বিল পাঠানো হয়। এ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো সুফল পাওয়া যায় না। ঘন ঘন লোডশেডিং থাকায় সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দাপ্তরিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়ে আসছে।
এ অবস্থায় বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বিনষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষজনকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তাই এ উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহকরণ ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপজেলা সদরে পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস নির্মাণ করতে হবে। অন্যতায় আরও কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে। মানববন্ধন শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনওর) কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার পাল বলেন, দুর্নীতি, অপকর্ম ,স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ গুলো সঠিক নয়। আমার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ কেউ দিতে পারলে আমার যা শাস্তি হয় তাই আমি মেনে নেব। এ ছাড়া আমার অধীনস্থ যারা রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কেউ দূর্নীতির প্রমাণ দিতে পারলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সব অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। হাজার হাজার বিলের মধ্যে দুই চারটা বিলে ভুলবশত হেরফের হতে পারে। অফিসে এসে কপ্লেইন দিলে আমরা তা ঠিক করে দিচ্ছি।
ধর্মপাশা উপজেলা সদরে পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিস নির্মাণ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন পাওয়া গেছে। সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সহযোগিতা পেলে খুব শিঘ্রই অফিস নির্মাণ করার কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি। পল্লী বিদ্যুতের নতুন একটি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি কাজটি পুরো শেষ হলে বিদ্যুৎ জনিত সমস্যা আর থাকবেনা। গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য আমাদের সবধরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।