জুলাই মাসে ঢাকাবাসী পেয়েছে সবচেয়ে নির্মল বাতাস
ডেক্স রিপোর্ট মঙ্গলবার রাত ১১:১৩, ৩ আগস্ট, ২০২১
সদ্য শেষ হওয়া জুলাই মাসে প্রকৃতির কাছ থেকে বিশেষ উপহার পেয়েছে ঢাকাবাসী। লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকা, বৃষ্টি এবং ঈদের কারণে মানুষ রাজধানী ছেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর বায়ুমান সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে মাসটিতে।
জুলাই মাসের ২২ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত বায়ুমান সূচকে বিশ্বের সেরা ১০টি শহরের মধ্যে স্থান করে নিয়েছিল ঢাকা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুর মান যাচাই বিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘‘আইকিউএয়ার’’-এর তথ্যমতে, ২৪ এবং ৩০ জুলাই কিছু সময়ের জন্য নির্মল বায়ুমানে বিশ্বের সেরা পাঁচটি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল বলে জানিয়েছেন বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।
জুলাই মাসে ঢাকা শহরের বাতাসের গুণগত মান উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। এ মাসের বেশিরভাগ দিনই বায়ুমান সূচক ১০০-এর কম ছিল।
বায়ুমান সূচক ০-৫০ থাকলে সবচেয়ে ভালো হিসেবে ধরা হয়, ৫১-১০০ মোটামুটি, ১০১-১৫০ সতর্কতামূলক, ১৫১-২০০ অস্বাস্থ্যকর, ২০১-৩০০ খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১-৫০০ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরা হয়।
ঢাকা শহরের বায়ুমান সূচক সাধারণত ২০০-র বেশি থাকে, মাঝে মাঝে তা ৩০০-র কাছাকাছি পৌঁছায়।
অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার জানান, জুলাই মাসে লকডাউন, বৃষ্টি এবং ঈদের কারণে মানুষ ঢাকা ছেড়ে যাওয়ায় বায়ুমানের এই উন্নতি।
ক্যাপসের জরিপ অনুযায়ী, জুলাই মাসে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে অতিসূক্ষ্ম বস্তুকণার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি ছিল, এবং সবচেয়ে কম (৫৩.৪৮ মাইক্রোগ্রাম) ছিল মতিঝিলে।
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার ফলে হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যানুসারে, বায়ু দূষণের ফলে প্রতিবছর সারা পৃথিবীতে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে যায়।