ঢাকা (দুপুর ১:৪৯) সোমবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমা পড়েছে ১০৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৩

এস এম সাখাওয়াত এস এম সাখাওয়াত Clock শনিবার রাত ১১:৪১, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে লাইসেন্স নেয়া সকল আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই অস্ত্রগুলো জমা দিয়েছেন লাইসেন্সধারীরা। এদিকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সোমবার পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার পর চলতি মাসের ৩ তারিখ মঙ্গলবারের মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় লাইসেন্স নেয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলো নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা, শিবগঞ্জ থানা, গোমস্তাপুর থানা, নাচোল থানা এবং ভোলাহাট থানায় জমা দেয় মালিকরা। আর আগ্নেয়াস্ত্রগুলো সাধারণ ডায়েরির (জিডি) মাধ্যমে জমা নেয়া হয়।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ডিআইও-১ পরির্দশক মো. ওবাইদুল হক বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে লাইসেন্স নেয়া বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র আছে। যেগুলো জেলার বাইরে ব্যবহৃত হয়। ওইসব অস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশের কাছে ইনফরমেশন ¯িøপ জমা দিয়েছেন মালিকেরা। বাকিরা নিজে এসে সরকারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র সমূহ জমা দিয়েছেন।’

ওবাইদুল হক আরও বলেন, ‘প্রতিনিধির মাধ্যমেও আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেয়ার সুযোগ ছিল। তাই যারা আত্মগোপনে আছেন বা অন্য কোনো কারণে আসতে পারেননি তারা প্রতিনিধির মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছেন। এটা একটা ভালো দিক।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইকতেখারুল ইসলাম জানান, ‘বিগত সাড়ে ১৫ বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০৯টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়। এর মধ্যে দুইজন লাইসেন্স নিলেও আগ্নেয়াস্ত্র কেনেননি। বাকি ১০৭ জন সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছেন।’

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পৌর এলাকার নিমতলা ফকির পাড়া মহল্লায় যৌথ বাহিনীর পরিচালিত অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ ওই এলাকার লালচাঁনের ছেলে মো. জাকির হোসেন, আমজাদ আলীর ছেলে মো. আলম এবং মো. আইনাল হকের ছেলে মো. ইদুলকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়। ৯ বীর মেকানাইজড বগুড়া সেনানিবাসের ক্যাপ্টেন রাব্বি এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ‘আটককৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ১টি রামদা, ৫টি চাপাতি, ১টি কাঠের বাটসহ চাকু, ১০টি ছোট চাকু ও ২টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পরে আটককৃতদের উদ্ধারকৃত অগ্নেয়াস্ত্রসহ নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়েরের মাধ্যমে সোপর্দ করা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ‘আটককৃতদের কোন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলেও তারা ভাড়াটিয়া হিসেবে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জেলায় অরাজকতার সৃষ্টি করতো।’



শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT