চরফ্যাশনে গরু চোর চক্রের পাঁচ সক্রিয় সদস্য আটক
কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা সোমবার রাত ০১:১৫, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণে গরু চোর চক্রের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে একটি দুই ইঞ্জিন চালিত ট্রলারসহ আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনায় মো. নিরব মাঝী বাদী হয়ে ৭ চোরকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় গরু চুরি একটি মামলা দায়ের করা হয়। শনিবার রাতে উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সামরাজ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন-চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের নীলকমল গ্রামের শাহে আলমের ছেলে মো. ইয়াকুব আলী (২৮), শশীভূষণ থানার রসুলপুর ১ নং ওয়ার্ডের শশীভূষণ গ্রামের নুরনবী মুন্সির ছেলে মো. সোলাইমান (২৫), একই এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মো. আলমগীর (৩৫), পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার পানখালী ৬ নং ওয়ার্ডের চিকনিকান্দি এলাকার মৃত ছাত্তার দালালের ছেলে মো. জলিল দালাল (৪০), পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার চর হাদী ৯ নং ওয়ার্ডের মোসলেম মৃর্ধার ছেলে মো. তুহিন (২৫)। পুলিশ জানিয়েছেন এরা সক্রিয় গরু চোর চক্রের সদস্য।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকালে শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্চ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড এলাকার রাস্তার পাশে থেকে একটি গাভী গরু বাছুর সহ চোর চক্র চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময়; গরুর মালিক নিরব মাঝীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা চোরদের ধৃত করিয়া ৫ জনকে আটক করেন। এসময় আরো ২ চোর পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি হাজারীগঞ্জের চেয়ারম্যানকে জানালে চেয়ারম্যান পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে রাতে আসামীদের আটক করেন।
এছাড়াও গত ২৯ জুলাই দিনগত গভীর রাতে বাদীর একটি গাভী গরু গোয়াল ঘর থেকে চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতে জানা যায়, বাদীর গরু চুরির কিছু দিন পর স্থানীয় সামরাজ মৎস্য ঘাটে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি একটি দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট ট্রলার রেখে যান। স্থানীয়্দের ট্রলারে কিছু জাল ও গরুর গোবর দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। ধৃত চোর চক্র ট্রলারে মাছ ধরার আড়ালে গরু চুরি করে থাকেন।
শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নিরব মাঝী নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে গরু চুরির একটি মামলা দায়ের করেন। রোববার দুপুরে তাদেরকে চরফ্যাশন আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। বাকী দু’জনকে আটকে অভিযান চলছে।