গৌরীপুরে ৩৩ বছর পর বিদ্যালয়ের সীমানার জটিলতা নিরসন করলেন ইউএনও
ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর,ময়মনসিংহ বুধবার রাত ০৮:০৪, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
ময়মনসিংহের গৌরীপুরের নাপ্তের আলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জমির সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউএনও হাসান মারুফ অভিযান চালিয়ে বিদ্যালয় ও সড়কের পাশে গড়ে উঠা ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণ করে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৩ সালে উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত নাপ্তের আলগী বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয় ২০১৩ সালে। বিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ ৫২ শতাংশ। বিদ্যালয়ের জমির কিছু অংশ দখলদারের দখলে চলে যাওয়ায় ১৯৮৯ সাল থেকে জমির সীমানা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আইআরডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি’র উদ্যোগে নাপ্তের আলগী-ভোলার আলগী আঞ্চলিক সড়কের কাজ শুরু হয়। কিন্ত বিদ্যালয় সংলগ্ন নাপ্তের আলগী বাজারে বক্স কাটার পর অবৈধ স্থাপনা কারণে ওই অংশটুকুর কাজ বন্ধ থাকে। বৃষ্টিতে ওই বক্সকাটা সড়ক কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যাওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীদের চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হতো।
সম্প্রতি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন নাপ্তের আলগী বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা ও সড়কের কাজ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগের বিষয়টি তার নজরে আসে। পরে শিক্ষা অফিসার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বিদ্যালয়ের জমির জটিলতা নিরসনের বিষয়টি ইউএনওকে জানান।
এদিকে অবৈধ স্থাপনা সরানোর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে দখলদারদের নোটিশ ও এলাকায় মাইকিং করা হয়। কিন্ত স্থাপনা সরিয়ে না নেয়ায় বুধবার সকালে ইউএনও হাসান মারুফ অভিযান চালিয়ে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলামত আলী বলেন ১৯৮৯ সাল থেকে বিদ্যালয়ের জমির সীমানা নিয়ে জটিলতা চলছিল। ইউএনও স্যারের উচ্ছেদ অভিযানের মধ্য দিয়ে ৩৩ বছর বিদ্যালয় তার জায়গা বুঝে পেয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবু সালেহ মোঃ ওয়াহেদুল হক বলেন; নাপ্তের আলগী স্কুল সংলগ্ন এলাকায় সড়ক নির্মাণ কাজ প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ ছিল। অভিযানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও সীমানা নির্ধারণ হয়েছে। এখন দ্রুত কাজ শুরু হবে।
ইউএনও হাসান মারুফ বলেন; উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার পূর্বে সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে বিদ্যালয় ও বাজারের জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এখন বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও বন্ধ থাকা সড়কের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।