গৌরীপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শনে আসছেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর,ময়মনসিংহ রবিবার বিকেল ০৪:১০, ২২ নভেম্বর, ২০২০
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, এনডিসি’র গৌরীপুর আগমন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় তাঁর গৌরীপুর আগমনের কথা রয়েছে। তিনি গৌরীপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন ও একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ রাহাত। এ উপলক্ষে আগাম প্রস্তুতি নিতে শনিবার (২১ নভেম্বর) পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক মোঃ বসির উদ্দিন, ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক মো. মাজহারুল হক চৌধুরী দিনভর গৌরীপুর অবস্থান করে প্রস্ততি সম্পন্ন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম, ডা. ফেরদৌস আরা আক্তার, ডা. এহতে শ্যামল হক ও গৌরীপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সার্বক্ষণিক দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ।
জানা গেছে, পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু ২০০২ সালের মার্চ থেকে ২০০৪ সালের জুন পর্যন্ত গৌরীপুরে কৃতিত্বের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। সে সময় তিনি জনগুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, যা তৎকালীন সময়ে আলোচিত ও সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত। যে কারণে গৌরীপুরে আজও সাহান আরা বানু একটি জননন্দিত নাম। সুশীল সমাজের কাছে আজও তিনি পরম শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিত্ব।
২৬ নভেম্বর গৌরীপুর আগমন উপলক্ষে তিনি পূর্বের স্মৃতি বিজড়িত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর বাস ভবন ও উপজেলা পরিষদ পরিদর্শন করতে পারেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য ২০১৫ সালের শেষ দিকে গৌরীপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও আজও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি। প্রয়োজনীয় জনবল ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অভাবে কার্যক্রম শুরু করা যায়নি এ যাবত।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক মোঃ বসির উদ্দিন জানান, সম্প্রতি ১৫ সদস্যের একটি জনবল অনুমোদন দেয়া হয়েছে গৌরীপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের জন্য। এখন থেকে প্রতি রবি, সোম, বুধ ও বৃহস্পতিবার ২জন ডাক্তার মা ও শিশুদের চিকিৎসা দিবেন গৌরীপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে। পর্যায়ক্রমে যন্ত্রপাতি ও জনবল নিয়োগ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ সেবা দেয়া হবে।