অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আর নেই
ইবাদুর রহমান জাকের রবিবার রাত ১১:০৭, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
গত ৪ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে মাহবুবে আলমকে আইসিইউ’তে স্থানান্তর করা হয়। এদিন ভোরে হার্ট অ্যাটাক হলে তাকে দ্রুত আইউসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তার জ্ঞান স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল, কিন্তু হৃদযন্ত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করছিল না।
মাহবুবে আলম,বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে থাকা রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে টানা অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। আর আইন পেশায় ছিলেন সুদীর্ঘ প্রায় ৪৭ বছর।
মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, দেশের আইন অঙ্গনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবে আলমের অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তিনি একজন প্রথিতযশা আইনজীবী হিসেবে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক আইনি বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ভূমিকা রেখেছেন এবং সবসময় ন্যায়নিষ্ঠ থেকে আইনপেশায় নিয়োজিত ছিলেন যা অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
মাহবুবে আলমের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পাশ করেন পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে। ১৯৭২ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। আইন পেশায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে সনদ পান ১৯৭৩ সালে।
মাহবুবে আলম ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের লাইসেন্স পান। ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগে আইন পেশা পরিচালনার অনুমতি প্রাপ্ত হোন। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হোন ১৯৯৮ সালে। সুপ্রিম কোর্ট বারের দায়িত্বে ছিলেন একাধিকবার। সেই সাথে ২০০৯ থেকে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড বিচারের জন্য, সংবিধানের ৫ম, ৭ম ও ১৩ তম ও ১৬ তম সংশোধনী মামলা, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে শীর্ষ সব যুদ্ধাপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে আপিল বিভাগে মামলা পরিচালনা করেন। দায়িত্ব পালন করেন বিডিআর বিদ্রোহ হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে।