প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ঘর পেল ৩৩ হাজার পরিবার
নিজস্ব প্রতিনিধি বুধবার রাত ০২:৫৫, ২৭ এপ্রিল, ২০২২
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় ধাপে ঈদ উপহার হিসেবে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৩২ হাজার ৯০৪টি পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জমির দলিলসহ ঘরের চাবি প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। তিনি সবসময় বলতেন, প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে। আমিও জাতির পিতার সেই আদর্শ নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, একদিকে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলছি, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছি। পাশাপাশি আমাদের যেসব মানুষ একেবারে ছিন্নমূল, যাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই, যারা কখনও স্বপ্নও দেখতে পারে না; যারা একমুঠো খাবার জোটাতে পারে না, সেই মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন করাই হচ্ছে আমাদের সরকারের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু ছিন্নমূল মানুষ না, দেশে যারা কুষ্ঠ রোগী, তাদেরকে আশ্রয়ণের মাধ্যমে পুনর্বাসন করেছি। যারা বেদে, নৌকায় বসবাস করতো, তাদেরকে আমরা ঘরবাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। অবহেলিত জনগোষ্ঠী হিজড়াদেরও আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি, তারা তাদের পরিবারেই থাকতে পারবেন। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও আমরা করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘর পেয়ে মানুষ যখন হাসে তখন সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক বেদখল জমি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এ সময় প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এর আগে রোববার (২৪ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে, বাংলাদেশের কোনো মানুষ যেন ভূমিহীন-গৃহহীন না থাকে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই প্রতিটি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে, দুই শতক জমির ওপর নিজের ডিজাইন করা দুই রুমবিশিষ্ট একটি করে ঘর উপহার দিচ্ছেন তিনি।
তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে ৬০ হাজার ১৯১টি ঘর, ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩০০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে নির্মাণাধীন ঘরের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬৭৪টি। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর হচ্ছে।
তিনি জানান, ঘরগুলো স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে অথবা স্বামী না থাকলে স্ত্রীর নামে দেওয়া হচ্ছে। প্রায় ৩৩ হাজার ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রায় দেড় লাখ মানুষের আশ্রয় হচ্ছে।