নাচোলের সাত্তার বিশ্বাসের জামাতার চিকিৎসায় এগিয়ে আসুন
রাসেল মুরাদ সোমবার দুপুর ০৩:২২, ২৬ জুলাই, ২০২১
নাচোলের থানাপাড়া নিবাসী মোহাম্মদ সাত্তার বিশ্বাসের ছোট জামাতা, সাবিনার ইয়াসমিনের স্বামী, শাকিল আক্তার প্রায় ছয়(৬) বছরের অধিক সময় ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। ডাক্তার নূরে আলমের তত্বাবধানে থাকা শাকিল আক্তার হঠাৎ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। এমতাবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত আশংকাজনক অবনতি ঘটে।
বর্তমানে তিনি ডায়ালাইসিস এর জন্য রাজশাহী পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। ডাক্তারের ভাষ্যমতে, বর্তমানে তার দুটি কিডনিই বিকল এবং অন্যদিকে করোনা। তার অবস্থার উন্নতিতে নতুন কিডনি প্রতিস্থাপন একান্তই জরুরী হয়ে পড়েছে। যার জন্য প্রয়োজন কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা।দীর্ঘদিন যাবত তার চিকিৎসায় এই পর্যন্ত আনুমানিক খরচ হয়েছে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বর্তমানে আরও এত বড় অংকের টাকা যোগাড় করা তার পরিবারের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাবিনার একমাত্র মেয়ে ফাইজা আক্তার সুরমা জানান, ”আমি সুরমা। বর্তমানে রাজশাহী সিটি কলেজে অধ্যায়নরত আছি। আমার বাবা গত ৬ বছর যাবৎ কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আমার বাবা। তার চিকিৎসার জন্য যে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তার ব্যয়ভার বহন করা আমার পরিবারের পক্ষে এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব না হলে ক্রমেই তার করুণ পরিণতির সাক্ষী হতে হবে আমাকে। সন্তান হিসেবে চোখের সামনে এই অপারগতার যন্ত্রণা বর্ণনাতীত। তাই আমার বাবার চিকিৎসায় পরিচিত-অপরিচিত সকলকে অনুগ্রহ করে এগিয়ে আসার আকুল আবেদন জানাচ্ছি”।
টাকার অঙ্কটা বড় হলেও সবার অল্প অল্প সহযোগিতাই পারে একটি পরিবারকে বাঁচিয়ে দিতে। আসুন প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসি। ইনশাআল্লাহ ফাইজার বাবাকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসি তার মেয়ের কাছে। সাবিনার কাছে ফিরিয়ে দিই তার জীবনের অমূল্য উপহার। নিশ্চিত করি পরিবারটির সুন্দর ভবিষ্যৎ।