ধর্মপাশায় ১০টাকা কেজি দামের হতদরিদ্রদের চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ,৫০কেজি চাল উদ্ধার
মোবারক হোসাইন,সুনামগঞ্জ,ধর্মপাশা শুক্রবার রাত ০৯:০৮, ২৩ অক্টোবর, ২০২০
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির নিয়োজিত ডিলার আরব আলীর বিরুদ্ধে ওই ইউনিয়রেন জয়পুর গ্রামের আব্দুর রশিদ নামের এক ব্যক্তির কাছে ৫০কেজি ওজনের ওই এক বস্তা চাল এক হাজার ২০০টাকা দামে কালোবাজারে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ (২৩াক্টোবর) শুক্রবার সকাল দশটার দিকে ওই ইউনিযনের জয়পুর গ্রামের রইছ মিয়া নামের এক ব্যক্তির বড়ির সামনে থেকে ওই চার উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা, উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির নিয়োজিত ডিলার আরব আলী ওই ইউনিয়নের কার্ডদারীদের মধ্যে প্রতি কেজি চাল ১০টাকা দামে প্রত্যেককে সুবিধাভোগীকে ৩০কেজি করে চাল বিক্রি করার জন্য তাঁকে ডিলার হিসেবে নিয়ুক্ত করা হয়েছে। ওই ইউনিয়নের হামিদপুর চৌরাস্তা মোড়ে ওই ডিলারের একটি গুদাম রয়েছে। সেখান থেকে তিনি সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল বিক্রি করে আসছেন। বৃহস্পতিবার মধ্যনগর খাদ্য গুদাম থেকে ওই ইউনিয়নের ৪৬২জন সুবিধাভোগীর চাল তিনি গুদাম থেকে উত্তোলন করেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ডিলার আরব আলী ওই ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের আব্দুর রশিদ নামের এক ব্যক্তির কাছে ৫০কেজি ওজনের এক বস্তা চাল এক হাজার ২০০টাকায় বিক্রি করেন।
ওই চাল আব্দুর রশিদ স্থানীয় এক শ্রমিককে দিয়ে তিনি তাঁর নিজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওইদিন সকাল অনুমান দশটার দিকে জয়পুর গ্রামের সড়ক সংলগ্ন রইছ মিয়ার বাড়ির উঠানে যাওয়া মাত্রই খবর পেয়ে এলাকার মানুষজন সমবেত হয়ে সেখানে এসে জড়ো হয়ে ওই চাল উদ্ধার করেন। পরে এলাকার মানুষজন জয়পুর গ্রামের রইছ মিয়ার কাছে উদ্ধার হওয়া এই একবস্তা চাল জিম্মায় রেখে দেন।
ডিলার আরব আলী বলেন, এটি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। কালোবাজারে আমি কারও কাছে চাল বিক্রি করনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মুনতাসির হাসান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওযা ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।