ধর্মপাশার বালিজুড়ী গ্রামের শিশু,নারী ও শিক্ষার্থীসহ ১৬ জন নিহতের ১০ বছর আজ
মোঃ কামরুজ্জামান মঙ্গলবার দুপুর ০৩:৩০, ৯ জুন, ২০২০
মোবারক হোসাইন, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় ট্রলারডুবিতে একই গ্রামের নারী, শিশু ও শিক্ষার্থীসহ ১৬জনের প্রাণহানির ১০বছর পূর্ণ হয়েছে আজ সোমবার ৮জুন । গত ২০১০ সালের ওইদিন সকালে উপজেলার সেলবরষ ও পাইকুরাটি ইউনিয়নের মধ্যবর্তী শৈলচাপড়া হাওরে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ঝোড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ওই হাওরে পানিতে ডুবে গেলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ট্রলারডুবিতে নিহত ১৬জনই উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বালিজুড়ী গ্রামের বাসিন্দা। নিহতদের মধ্যে বাদশাগঞ্জ পাবলিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঁচজন ও বাদশাগঞ্জ পাবলিক হাইস্কুলে (বর্তমানে বাদশাগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) তিনজন শিক্ষার্থী ছিল। বাদশাগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও বাদশাগঞ্জ পাবলিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ট্রলারডুবিতে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে বাদশাগঞ্জ পাবলিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো.নজরুল ইসলাম।বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক মাওলানা রফিকুল ইসলাম,আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। অপরদিকে একই সময়ে ট্রলারডুবিতে নিহত শিক্ষাথীদের স্মরণে বাদশাগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলাল উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাই,নূর-এ আলম জিকু প্রমুখ। ওই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ট্রলারডুবিতে নিহত শিক্ষার্থীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আজ বাদজোহর বাদশাগঞ্জ বাজারের স্থানীয় তিনটি জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া বালিজুড়ী গ্রামবাসীর উদ্যোগে স্থানীয় মসজিদে ট্রলারডুবিতে ১৬জনের প্রাণ হানির ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বাদ মাগরিব মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রলারড্রুবিতে নিহত শিক্ষার্থী জরিনা আক্তারের বড় ভাই মারুফ আলম। তিনি বলেন, বছর ঘুরে এই দিনটি এলেই সারাগ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ উপজেলায় অতীতে কখনো একই গ্রামের ১৬জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। বাদশাগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলাল উদ্দিন ও বাদশাগঞ্জ পাবলিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.নজরুল ইসলাম বলেন, ট্রলারডুবিতে নিহত শিক্ষার্থীদেরকে আমরা কখনো ভুলবনা। ট্রলারডুবিতে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে বিদ্যালয় চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা চেয়ে ইউএনও স্যারের আছে লিখিতভাবে আবেদন করা হবে।