দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী ও প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর আর নেই
আরিফুল ইসলাম সোমবার রাত ১০:০৪, ৬ জুলাই, ২০২০
‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, রইব না আর বেশি দিন তোদের মাজারে’ গানটি শুনে চোখে পানি আসেনি বা আবেগ তাড়িত হননি এমন মানুষ পাওয়া গেলেও তা হবে অনেক কম। গানের কথাগুলির মতোই আজ সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন কিংবদন্তী গায়ক এন্ড্রু কিশোর।
প্লেব্যাক সম্রাট খ্যাত এ শিল্পীর ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’ ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস’ ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’ ‘পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমার ছুঁয়াতে খুঁজে পেয়েছি’, এ ধরনের গানগুলি বাংলাদেশের গানের জগতকে পাল্টে দেয়। সূরের মূর্ছনায় গান পাগল অগণিত মানুষ তার কণ্ঠের যাদুতে বিমোহিত হয়ে নিজেরাই গুণগুণ করে গাইতে থাকে। তার মৃত্যুতে বাংলা প্লেব্যাক গানের একটি ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটল।
দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী ও প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর আর নেই। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এন্ড্রু কিশোরের বোনজামাই ডা. প্যাটরিক বিপুল বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নন-হজকিন লিম্ফোমা নামক ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কিংবদন্তি এই গায়ক। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করেও ক্যানসার নির্মুল হয়নি প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের। চিকিৎসক হাল ছেড়ে দেওয়ায় ক্যান্সার নিয়েই ৯ মাস পর গত ১১ জুন দেশে ফেরেন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি রাজশাহীতে ছিলেন।
রাজশাহী নগরীর মহিষবাথান এলাকায় বোন ডা. শিখা বিশ্বাস ও বোনজামাই ডা. ডা. প্যাটরিক বিপুল বিশ্বাসের বাড়িতেই ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। ডা. প্যাটরিক বিপুল বিশ্বাস জানান, গতকাল বরিবার (৫ জুলাই) এন্ড্রু কিশোরের শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়। আজ সোমবার আরও অবনতি হলে বিকাল ৪টার দিকে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।