দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে পেলেকে শ্রদ্ধা জানাল নেইমাররা
ক্রীড়া প্রতিবেদক মঙ্গলবার সকাল ১০:৩৪, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২
নান্দনিক ফুটবল উপহার দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে পেলেকে শ্রদ্ধা জানাল নেইমাররা। সোমবার রাতে দোহায় স্টেডিয়াম ৯৭৪- এ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচটি ৪-১ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। ম্যাচের শেষ বাঁশি বেজে গেছে ততক্ষণে। হতাশামাখা মুখ নিয়ে একে একে মাঠ ছাড়ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবলাররা। ডাগআউট থেকে পেলের ছবি সংবলিত একটি ব্যানার নিয়ে মাঠের মাঝবৃত্তে জড়ো হন নেইমার-ভিনিসিউসরা। ফুটবল সম্রাট পেলেকে শ্রদ্ধা জানান তারা।
দীর্ঘ দিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন ৮২ বছর বয়সী ফুটবল সম্রাট পেলে। গত ২৯ নভেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কেমোথেরাপি কাজ না করায় এ কিংবদন্তিকে প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটে নেয়া হয়।
পেলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর থেকেই মৃত্যুর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে দিন দুয়েক আগে সে গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি নিজেই। কাতার বিশ্বকাপে উত্তরসূরিদের জয় দেখতে মুখিয়ে আছেন এ ফুটবল গ্রেট। জানান, বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে খেলতে দেখা তাকে প্রচুর জীবনীশক্তি দেয়।
সুপার সিক্সটিনে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের খেলা শুরুর কিছুক্ষণ আগেও বার্তা দিয়েছেন ‘কালো মানিক’ খ্যাত পেলে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে ব্রাজিল কিংবদন্তি বলেন, ‘১৯৫৮ সালে সুইডেনের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে বাবাকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের কথা ভাবছিলাম। আমি জানি আমার মতো জাতীয় দলের অনেকে একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং প্রথম বিশ্বকাপের খোঁজে আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তোমাদের অনুপ্রাণিত করতে চাই, আমার বন্ধুরা মিলে আমি এখান থেকে হাসপাতালে বসে খেলা দেখবো। আমরা একসঙ্গে আছি। শুভকামনা আমাদের ব্রাজিল!’
বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড পেলের। ১৯৫৮ সালে ১৭ বছর বয়সে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েই ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বনে যান তিনি। এরপর ১৯৬২ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপেও শিরোপা জিতেন তিনি। অধিকাংশ ফুটবলবোদ্ধা, তার সমসাময়িক ও পরের প্রজন্মের চোখে তিনিই ইতিহাসের সেরা ফুটবলার।
এই ফুটবল সম্রাটের সুস্থতা কামনায় বিশ্বজুড়ে প্রার্থনা করছেন ভক্ত-সমর্থকরা। সে তালিকায় আছেন সতীর্থ থেকে শুরু করে বর্তমান ফুটবলাররাও। পেলের জন্য প্রার্থনা জানিয়ে টুইট করেছেন তার স্বদেশি রিভালদো এবং ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পেরাও।