মোঃ ইসলাম,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামের স্মরণে ‘নাগরিক শোক সভায়’ হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে।
রবিবার বিকেল ৩টার দিকে হরিপুর উপজেলার যাদুরাণী হাট প্রাঙ্গণে ‘নাগরিক শোক সভা’ কমিটি এ আয়োজন করে।
নাগরিক শোকসভার শুরুতে বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ মরহুম অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
নাগরিক শোক সভা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহা: সাদেক কুরাইশী।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তাক আলম টুলু, মাজহারুল ইসলাম সুজন, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোজাফ্ফর আহমেদ মানিক, মরহুম আমিনুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম পুষ্প, হরিপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, রানীশংকৈল উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সইদুল হক, প্রবীণ রাজনীতিবিদ কামরুদ্দীন চেয়ারম্যান, অধ্যাপক করিমুল ইসলাম, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মরহুমের বড় ভাই আবু তাহের, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার রায় প্রমুখ।
শোকসভাটি পরিচালনা করেন নাগরিক শোক সভা কমিটির সদস্য সচিব ও হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল।
বক্তারা বলেন, মরহুম আমিনুল ইসলাম ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। জনগণের অকুণ্ঠ ভালবাসা তিনি পেয়েছেন। সারাজীবন তিনি এলাকার মানুষের ভালোবেসে গেছেন। সবসময় তিনি জনগণের উন্নয়নে কাজ করেছেন। আজ আমরা এমন একটি মানুষকে হারালাম। আল্লাহ তায়ালা পরপারে উনাকে ভালো রাখবেন।
এরআগে গত ১৩ অক্টোবর দিবাগত রাত ১০টা ৪০ মিনিটে হরিপুর উপজেলার বকুয়া গ্রামের নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম। পরদিন পারিবারিক গোরস্থানে মরহুমের দাফন কার্য সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২২ বছর হরিপুর থানা কমিউনিষ্ট পার্টির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যোগদান করেন আমিনুল ইসলাম। সেই সময় তিনি ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষকলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি হরিপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে তিনি হরিপুর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি নির্বাচিন হয়ে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যথাযথভাবে দায়িত্বের সঙ্গে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে মৃত্যুবরণ করেন।