কুলাউড়ায় ইছমত হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আটক ৫ জন
নিজস্ব প্রতিনিধি শুক্রবার ১২:২১, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯
মোঃ জাকির হোসেন, জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজারঃ ইসমতকে লাঠিপেটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতের পর তার মৃত্যু হয়। এরপর তার লাশ পুঁটিছড়া ও লম্বাছড়াস পুঞ্জির পাহাড়ি ছড়ার পাশে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়; বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে ইসমত হত্যাকাণ্ডে আটক ৫ আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে এ কথা জানায়।
গত ১৫ অক্টোবর রাতে ৪ দিন নিখোঁজ থাকার পর পুলিশ উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ঘড়গাঁও গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইছহাক আলীর ছেলে ইসমত আলীর লাশ উদ্ধার করে কর্মধার পুঁটিছড়া থেকে। ওই রাতে ইসমত হত্যার সঙ্গে জড়িত গারো ও খাসিয়া সম্প্রদায়ের ৫ জনকে আটক করে কুলাউড়া থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- প্রণলা (৪০), আশা হাকিডক (২২), রিয়া রিচিল (২২), সনি পলেন ওরফে জুয়েল (২৫), সজিব (২৭)।
এ ঘটনায় দুপুরে নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।
আটককৃতদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ‘ইসমত লম্বাছড়ার একটি টিলায় পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করতো। সে মদ খেয়ে প্রতিদিন আশেপাশে টিলায় বসবাসরত খাসিয়া ও গারো সম্প্রদায়ের লোকজনকে গালাগালি এবং মারধর করতো। ঘটনার দিন গত ১১ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে ইসমত লম্বাছড়ায় পাহারার দায়িত্বে থাকা জাহিদের ঘরের পাশে গিয়ে তার স্ত্রীকে গালিগালাজ এবং দা দিয়ে ঘরের দেয়ালে কোপাতে থাকে। এসময় লম্বাছড়ার কেয়ারটেকার ফেরদৌস আহমদকে ওইখানে বসবাসরত বাসিন্দারা বিষয়টি জানান।
এসময় ফেরদৌসের নির্দেশে ওই এলাকার বাসিন্দা ডাইব্বার স্ত্রী প্রণলা লাঠি দিয়ে ইসমতের পেছন দিক থেকে আঘাত করেন। এতে ইসমত মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে একে একে ওই পাহাড়ে বসবাসরত গারো ও খাসিয়া পরিবারে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ ইসমতকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর লাশ পার্শ্ববর্তী পুটিছড়ার একটি ছড়ার পাশে মাটিতে পুঁতে রাখে।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহিম জানান, হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে পাঁচ অভিযুক্ত। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এঘটনায় জড়িত আরও ১২ জনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।