সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ জানালেন সাবেক চেয়ারম্যান শাকিল
নিজস্ব প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার রাত ১১:৩০, ২১ নভেম্বর, ২০১৯
টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাংঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ মতিয়ার রহমান মতি এর মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করলেন একই ইউনিয়নের দুই বারের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান খান শাকিল।
আজ (২১ নভেম্বর) ২০১৯ ইং বৃহস্পতিবার দুপুরে ধুবড়িয়া পুরাতন বাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি বলেন, “আমি শফিকুর রহমান খান শাকিল, ২০০৪ সালের নির্বাচিত চেয়াম্যান, ২০১০ সালের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে স্থানীয় জনগণের সাথে আমার দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে প্রশাসনিক ও স্থানীয় আচার ও বিচারকার্য যথাযথ সুনাম নিয়েই পরিচালনা করিয়াছি। এতে স্থানীয় ভাবে আমার কর্মকান্ড নিয়ে পজেটিভ জনশ্রুতি রয়েছে।
গত ৫/১১/২০১৯ ইং তারিখে ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যাড ব্যবহার করে বর্তমান চেয়ারম্যান ও তার বিভিন্ন অপকর্মের সহযোগী ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ তৌহিদুর রহমান আরজ সহ কতিপয় মেম্বারগণ কর্তৃক গৃহীত আলোচনা সাপেক্ষে আনিত দেহ ব্যবসা সংক্রান্ত নোটিশ প্রদানের প্রক্রিয়াটি বিব্রতকর। আমাকে এ বিষয় প্রসঙ্গে কোন প্রকার অবহিত ছাড়া উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে তারা কাজ করেন।
গত ২০/১১/২০১৯ ইং তারিখে নাগরপুর প্রেস ক্লাবে তিনি ১টি সংবাদ সম্মেলন করেন, যাহা ফেইসবুকের মাধ্যমে আমি অবগত হই। সেখানে তিনি সম্পুর্ণ বিষয়টি সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খান রঙ্গু, আমি শফিকুর রহমান খান শাকিল, সাহাবুল আলম দুলাল সহ তিন জনের নাম দফায় দফায় উল্লেখ করে তাকে চাপ প্রয়োগের কথা বলেন। বিষয়টি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধিন, সেক্ষেত্রে বিগত সময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাকে চাপ প্রয়োগের কিছুই নাই।
তিনি তার প্রশাসনিক কাজের অজ্ঞতাকে আমাদের উপর দিয়ে চাপিয়ে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তা মিথ্যা ও বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। মানুষ মুখি কার্যক্রমে সামাজিক কিছু দায়-দায়িত্ব ও ব›ধন থাকে। সেই দায়-দায়িত্ব থেকেই ভিকটিম আমার ওয়ার্ডে অবস্থান করাতে পাড়া ভিত্তিক মত বিনিময়ে আমার অবস্থান প্রকাশ করি এর বেশি কিছু নয়। স্থানীয় সরকারের চেয়ারম্যান হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে জনাব মতিয়ার রহমান তার পরিষদে বসেন।
যেখানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিহিসেবেও আমাকে কোন প্রকার অবহিত করেন নাই। প্রশ্নটা এরকম আমি দফায় দফায় কোথায় উপস্থিত হয়ে চাপ প্রয়োগ করলাম। অলোচিত ভিকটিমের যাবতীয় বিষয়াদি চেয়াম্যান হিসেবে জনাব মতিয়ার রহমানের জানা এবং ব্যবস্থা গ্রহনের দায়িত্বে পরে।
কারন ঘটনাটি মামলা চলমান অবস্থায় আদালতিক তদন্ত সহ যাবতিয় কার্য়ক্রমে জনাব মতিয়ার রহমান চেয়াম্যান সম্পৃক্ত ছিলেন। মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার হীন প্রক্রিয়া হিসেবে যাবতিয় কার্যক্রমে লিপ্ত।
অত্যান্ত দুঃখের সাথে পরপর দুই বারের বিপুল ভোটে নির্বাচিত চেয়াম্যান হিসেবে আমাকে বলতে হয় সর্বজন স্বীকৃত ১০ নং ইউনিয়ন পরিষদের মাদকাসক্ত, অসুস্থ চেয়ারম্যান জনাব মতিয়ার রহমান কখন কোথায় কি বলেন, কি লিখেন, সকালে এক কথা, বিকেলে আর এক কথা এরকম পরিস্থিতি চলমান।
রাজনৈতিক ভাবেও আমি তার ঘরোয়ানার লোক নই। নির্বাচনে অংশ গ্রহনের দুই মাস পূর্বে জাতীতাবাদী কৃষক দলের ধুবড়িয়া ইউনিয়ন সভাপতি ছিলেন তিনি। নব্য আওয়ামী লীগার হিসেবে নির্ধারিত চেয়ারম্যান হয়ে আমার জন্ম সূত্রে আওয়ামী লীগের আদর্শের প্রতি সামাজিকভাবে হেয় করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
উল্লেখ্য ০৫/১১/২০১৯ ইং চেয়ারম্যান কর্তৃক অনিত বিষয়ে দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত নোটিশে আমাকে সম্পৃক্তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত যাতে আমার কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নাই। যাহা বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব মতিয়ার রহমানের। পরিশেষে বাদী মোছাঃ তামান্ন আক্তারের বিষয় বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলাকালীন ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমার যে কোন সহযোতা থাকবে”।
এ সব কথা সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান খান শাকিল নিজে পাঠ করে সাংবাদিক ও উপস্থিত সকল কে সকল কে ধন্যবাদ জানিয়ে তার সংবাদ সন্মলন শেষ করেন এবং সাংবাদিকদেও প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন, ঘটনাটি মামলা চলমান অবস্থায় আদালতিক তদন্তসহ যাবতিয় কার্যক্রমে মতিয়ার চেয়ারম্যান সম্পৃক্ত ছিলেন। মতিয়ার চেয়ারম্যান একজন মাদকাসক্ত অসুস্থ।
এছাড়া মতিয়ার চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী। তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ২ মাস পূর্বে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের ধুবড়িয়া ইউনিয়ন সভাপতি ছিলেন।
দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত নোটিশে আমাকে সম্পৃক্ততা সম্পুর্ন উদ্দেশ্য প্রনোদিত, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তিনি আরো বলেন বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব মতিয়ার নিজেকে নির্দোষ দাবী করে যে সংবাদ সম্মেলন করেন তা শুধুই লোক দেখানো। কারণ অপহরন ও ধর্ষণ মামলার বিচারিক তদন্তে তিনি শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সম্পৃক্ত। তাই ধর্ষণের বিষয়টি তার অজানা থাকার কথা নয়। এতেই প্রমান হয় যে, এ সকল হীন, মিথ্যা অপপ্রচার বর্তমান চেয়ারম্যান নিজেকে বাচাঁনোর জন্য করছেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ধুবড়িয়া ইউনিয়নের আ.লীগ নেতা আঃ মালেক খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মাজেদ প্রধান, যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক রিফাত বিন রুবেল, ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ সদস্য মোঃ আঃ হালিম, সাবেক সেনা সদস্য মোঃ মবিজ্জল হক, মোঃ আবুল বাসার সহ এলাকার গণ্যমান্য বক্তিবর্গ। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ জানালেন সাবেক চেয়ারম্যান শাকিল