ঢাকা (দুপুর ১:২৪) রবিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

দাউদকান্দিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ সদস্য ও শিক্ষার্থী নিহত

স্টাফ রিপোর্টার স্টাফ রিপোর্টার Clock সোমবার সকাল ১১:৩৬, ৫ আগস্ট, ২০২৪

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এক পুলিশ সদস্য নিহত ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক শিক্ষার্থী আওয়ামী -ছাত্রলীগের তান্ডবে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরতর আহত হয়ে নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

 

জানা যায়,

দাউদকান্দি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল্লাহ ও গৌরীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রুমেল বড়ুয়া সংঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ ইলিয়টগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা ডিউটি করতে গেলে সকাল সাড়ে ১০টার সময় একটি টিম পিকআপ যোগে মহাসড়কে টহল দেওয়ার সময় বিক্ষিপ্ত জনতার কবলে আটকা পড়লে পিকআপটি ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেয়। অপর দিকে পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল্লাহ ও ইনচার্জ রুমেল বড়ুয়া ও মহিলা পুলিশ সদস্য ২ জনসহ রিলায়েবল সিএনজি পাম্পে আটকা পড়েন। তাদেরকে দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মোজাম্মেল হক স্থানীয় লোকজন দিয়ে উদ্ধার করতে পারলেও বাকী ৯ পুলিশ সদস্য যারা ইলিয়য়টগঞ্জ হাইওয়ে থানাতে আটকা পড়ে তাদেরকে উদ্ধার করতে পারেননি। তখন বিক্ষিপ্ত জনতা ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং কন্সটেবল এরশাদ নামের একজন পুলিশকে ধরে এনে গণপিটুনি দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ভ্যানগাড়িতে ফেলে রাখে। বাকী পুলিশ সদস্যরা ছাদের উপর আশ্রয় নেয় এবং পুলিশের সকল সিনিয়র অফিসারদের কাছে বাঁচানোর প্রার্থনা করে। তখন দাউদকান্দি সার্কেল এর এএসপি এনায়েত কবির সোয়েব ও ওসি মোজাম্মেল হককে একাধিকবার অনুরোধ করে এতে করে ওসি থানা হইতে ১৫/১৬ জন অফিসার ও ফোর্স নিয়ে রওয়ানা করে শহীদনগর পৌছামাত্র বিক্ষিপ্ত জনতা দুইদিক থেকে তিনটি পুলিশের গাড়িকে আটক করে ইট পাটকেল দিয়ে আঘাত করতে থাকে । তখন ওসি মোজাম্মেল হক সকল অফিসার ফোর্স নিয়ে দক্ষিণ ভাগলপুর গ্রামে কেরামত আলী বাড়ীর মহিউদ্দিননের ঘরে আশ্রয় নেয়। বিক্ষিপ্ত জনতা মহিউদ্দিনের ঘরে গিয়ে দরজা জানালা ভাংচুর করে ফেলে।পুলিশ বাঁচার মতো কোন পথ না দেখে স্থানীয় লোকজন ও আওয়ামী অঙ্গসংগঠনকে ফোন করলে স্থানীয় লোকজন ও আওয়ামী অঙ্গসংগঠনের লোকজন বিক্ষিপ্ত জনতাকে হটিয়ে ওসি ও তার লোকজেনকে উদ্ধার করে। দাউদকান্দি মডেল থানার এসআই আলমগীর পুকুরে পড়ে গেলে বিক্ষিপ্ত জনতা তাকে মাথায় সারা শরীরে মারপিট করে আহত করে। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

এছাড়াও বিক্ষুদ্ধ জনতার ইটপাটকের আঘাতে ওসিসহ অন্যান্যরা আহত হয়।

 

এদিন শহীদনগর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে রিফাত নামের এক শিক্ষার্থীর গুরতর আহত হয়ে নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

 

 

 

এদিকে আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিফাতের ভগ্নিপতি সাইদুল ইসলাম। রোববার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রিফাত উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের সুখীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।

রিফাতের ভগ্নিপতি সাইদুল ইসলাম জানান, রিফাতকে আওয়ামী ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা গুলি করলে সে গুরতর আহত হয়। পরে তাকে

আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গৌরীপুরে  নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কোথাও রাখেনি। পরে আমার বাড়ীতে নিয়ে আসলে রাতে রিফাত মারা যায়।

 

উল্লেখ্য,

রোববার (৪ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শহিদনগরে আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় রিফাত বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। এদিন দিবাগত রাতে শিক্ষার্থী রিফাত নিজ বাড়িতেই মারা যায়।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShasTech-IT