ঢাকা (রাত ১১:৩০) রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাঘাটায় আলাই নদীর চরে ফসল বুনছে কৃষক

আসাদ খন্দকার,সাঘাটা,গাইবান্ধা আসাদ খন্দকার,সাঘাটা,গাইবান্ধা Clock সোমবার রাত ১১:২৮, ৭ মার্চ, ২০২২

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার আলাই নদীটি এখন পানি শূন্য হয়ে পড়েছে । নাব্যতা হারিয়ে নদীর বুকে চর জেগে ওঠায় কৃষকেরা এখন ধানসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করছেন। সংস্কারের অভাবে নদীটি তার ঐতিহ্য হারিয়েছে।

নদীটির ৫ কিঃ মিঃ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা রোপা ইরি চাষে পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পার করছে । একসময়ে খরস্রোতা আলাই নদীতে প্রায় ১৫ বছর আগে পর্যাপ্ত পানি ছিল।

জানা গেছে, ঘাঘট নদীর একটি শাখা বের হয়ে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীটি গাইবান্ধার ত্রিমোহনী- বাদিয়াখালি হয়ে সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর, বোনারপাড়া, কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর এলাকায় কাটাখালি ও বাঙ্গালী নদীর সাথে যুক্ত হয়। প্রাচীন এই নদীটি পদুমশহর, বোনারপাড়া, কচুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অনেক লোককে নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব করেছে।

কিন্তু সময়ের ব্যবধানে নদীটি তার নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলছে। আলাই নদীটি এখন সমতল ফসলের মাঠ। পলি জমে ভরাট হওয়ায় বর্ষাকালে প্লাবিত হয়ে দু’কুল ভরে উঠে। আবার শুকনো মৌসুমে পানি শূন্য হওয়ায় নদীর বুকে ইরি, বোরোসহ বিভিন্ন ফসল কৃষকরা বুনে।

নদীর তীরবতী উপজেলার টেপা পদুমশহর গ্রামের মধু ও নজল জানান, একসময় আলাই নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ পাওয়া যেত। এথন পানি শূন্য হওয়ায় কোন মাছ আর পাওয়া না, শুধু বন্যার সময় ছাড়া।

একই গ্রামের নুর উদ্দিন ও জুয়েল রানা বলেন, আমাদের বাপ- দাদার জমি নদীতে বিলীন হয়ে আবার জেগে ওঠায় ২ বছর থেকে ইরি আবাদ করে আসছি।

পদুমশহর ইউপি চেয়ারম্যন মফিজুল হক বলেন, নদীটির আবহ ঠিক রাখতে খনন করা প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু রায়হান বলেন, দ্বিতীয় ফেজে আলাই নদীটির খননের জন্য মন্ত্রালনয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে পুনঃ খনন করা হবে।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT