চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকার হেরোইনসহ বাদশা গ্রেফতার
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ শনিবার রাত ০১:২০, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার পিটিআই মাষ্টার পাড়া এলাকায় বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ মাদক হেরোইন উদ্ধার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যটালিয়নের সদস্যরা। শুক্রবার এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে এক ব্যক্তিকে হেরোইন বিক্রয়ের অভিযোগে গ্রেফতার করে র্যাব-৫। র্যাবের দাবী গ্রেফতার ব্যক্তি একজন মাদক ব্যবসায়ী।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি জেলার সদর উপজেলার ১২ নং চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চরবাগডাঙ্গা গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের মোসা. মানুয়ারা বেগম ও মো. নজরুল ইসলামের ছেলে মো. বাদশা মিয়া (৪২)।
এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-৫ রাজশাহীর সহকারী পরিচালক শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তীর মাধ্যমে জানিয়েছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার পিটিআই মাস্টার পাড়ায় গুদার ‘স’ মিলের পূর্ব পাশে মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫ রাজশাহীর সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল দুপুর পৌণে ১টায় এক অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১৮৫ গ্রাম হেরোইনসহ বাদশাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি মটরসাইকেল জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক ব্যবসায়ী বাদশা দীর্ঘদিন ধরে হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি বাজারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাকিব-আল-রাব্বি এবং ড্রাগ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক ফুয়ারা ইয়াসমিনের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমান আদালত র্যাব-৫ রাজশাহীর সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের সহযোগীতায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান লাইসেন্স বিহীন ভারতীয় অবৈধ ভেজাল ঔষুধসহ শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট বাগান পাড়া এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (১৮), চাতরা চকহরিপুর এলাকার তানুর ছেলে মো. রুবেল (৩০), ধারী চাতরা এলাকার মৃত নূরুল ইসলাম ঝাটুর ছেলে মো.মোতাহার আলী (৫০), ধারী চাতরা চকনাদরা এলাকার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মো.আমিরুল ইসলাম (৩৫) এবং গোমস্তাপুর উপজেলার কাচিপুর এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো. দহিমুন আলীকে গ্রেফতার করে বিভিন্ন দন্ডে দন্ডিত করা হয়।
এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামীদের ভারতীয় অবৈধ ঔষধ ও ড্রাগ লাইন্সেস ছাড়া খোলা জায়গায় ঔষধ বিক্রয়ের অপরাধে ঔষধ আইন-১৯৪০ এর ২৭ ও ৩৭ ধারার অপরাধে দহিমুন, আমিরুল, মোতাহার ও রুবেলকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং আসামী আব্দুর রহিমকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদাণ করা হয়।