যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারকে গনসংবর্ধনা
মোরশেদ আলম,যশোর রবিবার দুপুর ০২:২২, ১ নভেম্বর, ২০২০
যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারকে সংবর্ধনা দিয়েছে নাগরিক কমিটি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। তার মৃত্যুতে ২১ জানুয়ারি আসনটি শূন্য হয়। পরে ২৯ মার্চ এ আসনের উপনির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করা হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে ২১ মার্চ ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
পরে গত ১৪ জুলাই এই আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয় পান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। আজ শনিবার (৩১ অক্টোবর) তার নির্বাচনে বিজয়কে ঘিরেই গণসংবর্ধনা আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার বেলা ৩টায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। যশোরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত শাহীন চাকলাদার এমপি বলেন, ‘দীর্ঘদিন জগদ্দল পাথরের মতো আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু যশোরের তৃণমূলের মানুষ সেই পাথর সরিয়ে আজ আমাকে এই আসনে বসিয়েছেন। তৃণমূলের মানুষের কাছে আমি চিরঋণী হয়ে আছি।’ তিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে যশোরের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব হারুন অর রশিদ। তিনি শাহীন চাকলাদারকে যশোর উন্নয়নের কারিগর দাবি করে বলেন, ‘তার নেতৃত্বে যশোর জেলা থেকে সন্ত্রাস ও দুর্নীতি দূর করা হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ, যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের জেলা সেক্রেটারি ডা. কামরুল ইসলাম বেনু, ক্ষুদ্র কুটির শিল্প উদ্যোক্তা সমিতির সভাপতি সাকির আলী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সেক্রেটারি সানোয়ার আলম খান দুলু, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসিম কুণ্ডু, ইছালি ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আফজাল হোসেন, মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শাহেদা বানু শিল্পী, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন গণপরিষদের সাবেক সদস্য মঈনুদ্দিন মিঁয়াজী, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর ইনস্টিটিউটের সহ-সভাপতি কাসেদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।
দুপুর আড়াইটার পর থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে দলের নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন।সকাল থেকেই যশোর পৌরকর্তৃপক্ষ সংবর্ধনাস্থলের পাশের রাস্তাগুলোতে ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি স্প্রে করে। প্রতিটি মোড়ে অবস্থান নিয়ে পৌরকর্মীরা আগন্তুকদের গায়ে স্প্রে করে। প্রবেশস্থলেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সময় বাড়ার পর মানুষের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। একসময় টাউন হল মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। জনস্রোত মাঠ ছাড়িয়ে পাশের রাস্তায় গিয়ে থামে।
প্রসঙ্গত, এই গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে সফল করতে গত কয়েকদিন ধরে যশোর জেলায় ব্যাপক মাইকিং করা হয়। জেলাময় সাঁটানো হয় চার রঙের পোস্টার। মোড়ে মোড়ে টাঙানো হয় ফেস্টুন, ব্যানার আর বিলবোর্ড।