কুমিল্লা-২ সংসদীয় আসন অপরিবর্তীত : হাইকোর্টের রুল
Alauddin Islam রবিবার রাত ০৮:৫১, ৩ জুন, ২০১৮
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার হোমনা-মেঘনা নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের নেয়া সিদ্ধান্ত কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না- জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হোমনা-মেঘনাকে একত্র রেখে সংসদীয় এলাকা কেন ঘোষণা করা হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে একটি অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রবিবার এ আদেশ দেয়।
আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি),নির্বাচন কমিশন সচিব,কুমিল্লা জেলা প্রশাসক (ডিসি),আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন অফিসার,মেঘনা, হোমনা, তিতাস ও দাউদকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আপত্তি সত্ত্বেও হোমনা-মেঘনা এলাকাকে কুমিল্লা-২-এর নির্বাচনী এলাকাকে তিতাস উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করে নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্থানীয় প্রতিনিধিসহ ৮ ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত তালুদকার।
মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে আইনের বিধান অনুসারে প্রশাসনিক সুবিধা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিবেচনা করার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন গত ৩০ এপ্রিল ওই আসনের গেজেট প্রকাশ করে। যেখানে আইনকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। চলতি বছরের ১৪ মার্চ নির্বাচন কমিশন এসব এলাকার সীমানা নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সিদ্ধান্তের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও গত ৩০ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন হোমনা-মেঘনাকে কুমিল্লা-২-এর সংসদীয় আসনে যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে।
ওই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম,স্থানীয় জন প্রতিনিধি মো. নাছির উদ্দিনসহ ৮ জন হাইকোর্টের রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ আদেশ দেয়।