ঢাকা (রাত ৩:৪০) বৃহস্পতিবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দেশনেত্রীর মুক্তি আমাদের এক নম্বর শর্ত

রাজনীতি ২১৩৩০ বার পঠিত
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের স্বাধীনতা হলে এক আলোচনায় বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের স্বাধীনতা হলে এক আলোচনায় বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

Alauddin Islam Alauddin Islam Clock শুক্রবার সন্ধ্যা ০৭:০১, ৬ এপ্রিল, ২০১৮

দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি হচ্ছে আমাদের (বিএনপির) এক নম্বর দাবি, এক নম্বর শর্ত। তাকে মুক্ত করতে হবে। তারপর অন্য কিছু আলোচনা হবে।’

(মেঘনা নিউজ)বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিই এক নম্বর শর্ত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ৬ এপ্রিল, শুক্রবার দুপুরে রাজনীতির সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ভবনের স্বাধীনতা হলে এক আলোচনা সভায় ফখরুল এই মন্তব্য করেন। ২০ দলীয় জোট শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপার) ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী  উপলক্ষে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম’ শীর্ষক ওই আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাগপার সভাপতি অধ্যাপক রেহেনা প্রধান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিষ্কার একটা কথা বলি, দেশনেত্রীর (খালেদা জিয়া) মুক্তি হচ্ছে আমাদের (বিএনপির) এক নম্বর দাবি, এক নম্বর শর্ত। তাকে মুক্ত করতে হবে। তারপর অন্য কিছু আলোচনা হবে। তার আগে অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করব না।’

সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা বরাবরই বলে এসেছি বর্তমান ও  আগের নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনে যাব না। কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা বরাবরই অংশগ্রহণ করে আসছি। নীতিগতভাবে এটা আমরা ঘোষণা দিয়েই করছি।’

একটি ইংরেজি দৈনিকের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সুন্দরবন এমন একটা প্রাকৃতিক সম্পদ, যা দেশকে দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করে। বিশ্ব ঐতিহ্যের এই বনকে সরকার ধ্বংস করে ফেলার জন্য এরই মধ্যে ১৯০টি শিল্প কারখানা করার অনুমতি দিয়েছে। কারণ পরিবেশ বিজ্ঞানীসহ সবার মতো এই ধরনের বনের কাছে শিল্প কারখানা হলে যে ধরনের কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস বেরিয়ে আসে, তাতে বন ধ্বংস হয়ে যাবে। এরই মধ্যে সরকার সবার বিরোধিতাকে তোয়াক্কা না করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করছে।

এসবের কারণ এই সরকারের এই দেশের প্রতি কোনো মূল্য নেই। তার মূল্য একটা, তাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। তার জন্য সে সবকিছু করতে প্রস্তুত। সে জন্য এখানে যারা শিল্প কারখানা করতে চায়, তাদের খুশি করতে দেশ বিক্রি করে দিতেও বাধে না।’

বিএনপির ৮ নেতার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নী‌তি দমনের কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। এর প্রমাণ দুদকের একটি ভুয়া মামলায়, সাজানো মামলায় খা‌লেদা জিয়া‌কে কারাগারে দেওয়া হয়েছে। এখন বিএনপি নেতাদের নামে অর্থ লেনেদেনের মিথ্যা তদন্তে নেমেছে।’

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন,‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দুইজন মানুষের কাছে দেওয়া হয়েছে। যা কিছুই করবেন, তাদের কাছ থেকে করতে হবে। সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে ফ্রান্স থেকে এটা বানানো হয়েছে। বড় বড় কন্ট্রাক্ট নিজেদের লোকদের দেওয়া হয়েছে।’

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের ভ্রান্ত নীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বড় ধরনের আন্তর্জাতিক সম্যায় পড়েছে। অশনি সংকেত বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। কোনো অগ্রগতি নেই। একটা লোককেও ফেরত নেয়নি। বাংলাদেশ আট হাজার ৩২ জনের একটি তালিকা দিয়েছিল। সেখান থেকে মাত্র  ছয়শকে তারা যোগ্য মনে করে ফেরত নেওয়ার। বাকিদের তারা ফেরত যাওয়ার যোগ্যই মনে করে না। কথাই বলে না। এই হচ্ছে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির সাফল্য।’

জাগপার প্রয়াত নেতা শফিউল আলম প্রধানের  স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি আপাদমস্তক একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার দেশপ্রেম, গণতন্ত্রের জন্য ভালোবাসা, স্পষ্ট কথা বলা আজকাল খুব একটা দেখা যায় না।’

আলোচনায় সভায় অংশ নেন খেলাফত মজলিসের চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার মারুফ হোসেন, জাগপার সাধারণ সস্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, জাগপা নেতা ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, আসাদুর রহমান আসাদ প্রমুখ।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT