করোনা পরিস্থিতিতেও থেমে নেই কিশোরগঞ্জের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা
মোঃ কামরুজ্জামান রবিবার দুপুর ০১:২১, ৭ জুন, ২০২০
রায়হান জামান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দেশে যখন করোনা মহামারীতে বিভীষিকায় পড়েছে মুমূর্ষু রোগীরা। প্রাণ যায় যায় অবস্থা হলেও রোগীর কাছে আসছেন না চিকিৎসক, ফিরিয়ে দিচ্ছে হাসপাতাল। প্রতিদিন দীর্ঘ হচ্ছে বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া রোগীর সারি। রোগী নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ঘুরে ঘুরেও যখন চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারছেন না স্বজনরা ঠিক কঠিন এই পরিস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় উপস্থিত জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসনে এবং হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ নিয়মিত বহির্বিভাগে রোগী দেখছেন। বহির্বিভাগ ছাড়াও সকল অন্তঃবিভাগ/ওয়ার্ড, ডায়ালাইসিস, ইসিজি, ইকো, ইটিটি, সিসিইউ, এইচডিইউ, আইসিইউ, প্রি মেচিওর তথা অপরিপক্ষ বয়সে জন্ম নেয়া বাচ্চাদের বিশেষ যতেœর জন্য এনআইসিইউ, সকল ধরণের অপারেশন, নরমাল ডেলিভারি, ফিজিওথেরাপি কার্যক্রম আব্যাহত রয়েছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারের সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গোলবৃত্ত এঁকে দেওয়া হয়েছে, ডাক্তারদের চেম্বারের সামনে প্রত্যকটি বেঞ্চের মাঝে সামাজিক দূরত্ব রাখা হয়েছে। এতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সুপারিশকৃত সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে। একই সঙ্গে হাসপাতালে আগত সবাই যেন এসব বিষয় মেনে চলেন সে জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিরলস পরিশ্রম এর পাশাপাশি নানা ধরণের সচেতনতামূলক পোস্টার এর মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সর্দি, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের আলাদাভাবে স্ক্রিনিং ও চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে ফ্লুকর্ণার। এছাড়া জরুরি স্বাস্থ্য সমস্যায় সেবা নিশ্চিত করতে হটলাইনের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা টেলিমেডিসিন সার্ভিস খোলা রাখা হয়েছে। বর্তমানের এই সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক বাহার উদ্দীন ভূঁইয়া বলেন, সার্বিক ঝুঁকি মোকাবিলায় একাধিক সতর্কতা গ্রহণ করে আমরা সবোর্চ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি সকলকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা দিতে। আমাদের হাসপাতালের বর্হিবিভাগ খোলা রাখা হয়েছে, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ প্রতিদিন নিয়মিত বহির্বিভাগে রোগী দেখছেন, নিয়মিতভাবে অসংখ্য রোগীরা তাদের চিকিৎসা নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে আমাদের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখায় বর্তমানের দেশের দুরবর্তী জায়গা থেকেও এসে আমাদের এখানে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক বাহার উদ্দীন ভূঁইয়া হাসপাতালে আগত প্রত্যেক ব্যক্তিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নির্দেশনা মেনে চলতেও অনুরোধ করেন। হাসপাতালের অভ্যন্তরে সকলের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামুলক করা ছাড়াও হাসপাতালে প্রবেশ পথে সকলের শরীরের তাপমাত্রা মেপে হাসপাতালে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।